চুয়েটে ‘সবার জন্য পানি’ শ্লোগানে বিশ্ব পানি দিবস উদযাপিত

0

সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘সরাব জন্য পানি’ শ্লোগানে বিশ্ব পানি দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার ৮ এপ্রিল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে এক র‌্যালি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম ওয়াসা’র মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুল্লাহ এবং চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। র‌্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক ও গোল চত্ত্বর হয়ে আবার প্রশাসনিক ভবনের এসে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল কক্ষে Water for All : Living No One Behind শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ওয়াসা’র মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুল্লাহ। সেমিনার চেয়ার ও পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, পুরকৌশল অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডীন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম। সেমিনারের যুগ্ন-আহবায়ক ও পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের প্রভাষক জনাব পলেন চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেমিনারের আহবায়ক ও পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের প্রভাষক জনাব রিফাত তালহা খান। সেমিনারে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫০ জন গবেষক অংশগ্রহণ করেন। এতে ৫টি টেকনিক্যাল সেশন ও ২টি প্যানেল সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশে নিরাপদ পানির উৎসসমূহ ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ জনপদেও এখন খাল-বিল ও পুকুর পর্যন্ত ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার পাশাপাশি মীরসরাই ও সীতাকু- অঞ্চলে অর্থনৈতিক জোন গড়ে ওঠায় পানির তীব্র চাহিদা দেখা দিয়েছে। তাই শুধু বড় বড় শহরের জন্য নিরাপদ ও সুপেয় পানির কথা ভাবলে হবে না। আমাদের এখন উপজেলা ও গ্রামের দিকেও নজর দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর প্রায় ৯৭ শতাংশ পানি ব্যবহারযোগ্য নয়। মাত্র ৩ শতাংশ পানি দিয়েই বিশ্বের শতকোটি মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। যে কারণে বর্তমানে বিশুদ্ধ পানিকে বলা হচ্ছে ব্লু-গোল্ড। তাই কখনো যদি নতুন কোন বিশ্বযুদ্ধ লাগে তবে সেটা একমাত্র পানি নিয়েই হবে। ভারত-চীন ইতোমধ্যে নিজেদের সীমানায় নদী বিষয়ে জোরালো অবস্থানে রয়েছে। প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুল্লাহ বলেন, সুস্থ থাকলে হলে নিরাপদ পানির সাথে সাথে স্যানিটেশন বিষয়টাও চলে আসে। আমরা সাধারণত বিশুদ্ধ পানি নিয়ে যতটা সচেতন, স্যানিটেশন বিষয়ে ততটাই উদাসীন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, পৃথিবীর চার ভাগের তিনভাগই পানি হওয়া সত্ত্বেও আমরা এখনো সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে পারিনি। নদীমাতৃক বাংলাদেশের তকমা আমরা ইতোমধ্যে আমরা হারাতে বসেছি। শহর কিংবা গ্রাম সর্বত্রই আমাদের নদী-নালা, খাল-বিল ও পুকুর-জলাধার ভরাট হওয়ার পাশাপাশি দখল-দূষণে বিপর্যস্ত। সেজন্য পানির অপব্যবহার রোধ, নদী-খাল রক্ষার পাশাপাশি দূষণের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.