নারী আসন বাড়ানো নয়, কমানোর চিন্তা: কাদের

0

সিটি নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভবিষ্যতে নারী আসন বাড়ানো নয়, কমানোর চিন্তা করছি। সোমবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

কাদের বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে ত্যাগী এবং তৃণমূলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যার জন্য আমরা অনেক সময় নিয়েছি। আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছেন। এমনকি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও কয়েকজনের নাম আমায় লিখে রাখতে বলেছিলেন তিনি। অনেককে সেখানে আমরা নিতে পারিনি, সেখানেও দু’চার জন সিলেক্টেড হয়েছে। অনেক যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। দে আর অল ব্রিলিয়ান্ট, পোলাইট, কমিটেড অ্যান্ড ডেডিকেটেড।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে যায়। এর আগেই তারা নির্বাচন সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে। বিরূপ মন্তব্য করা, নালিশ করা তাদের পুরনো অভ্যাস। রোজ কেয়ামতের দিন পর্যন্ত বিএনপি অভিযোগ করবে।

কাদের বলেন, যেসব নির্বাচনে তারা নির্বাচিত হয়েছে, সেসব নির্বাচনেও দেখা গেছে ফলাফল হবে, গণনা চলছে, তখনও জালিয়াতির কথা বলে বেরাচ্ছে তারা। এটা বিএনপির পুরনো অভ্যাস। এটা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। এটা হাস্যকর হয়ে গেছে। তাদের নালিশের কোনো বাস্তবতা, সত্যতা নেই। দেশে-বিদেশে নির্বাচনকে (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) তারা প্রশ্নবিদ্ধ কারার অপচেষ্টা করেছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। সারা দুনিয়া এই নির্বাচনকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ জিতে যাচ্ছে’ বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উনি কী নির্বাচনের নিয়ম-কানুন, আইন, আচরণ বিধি, সংবিধান এসব মানতে চান না? জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন তো পাঁচবছর পরই হচ্ছে। গতবারের উপজেলা নির্বাচনেও প্রথম ধাপে বিএনপি মেজরিটি পার্সেন্ট ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ধাপেও তারা ব্যালেন্স ছিল। তারা এখন নির্বাচনে অংশ নেবে না, কারণ তারা জানে জাতীয় নির্বাচনে যে ভরাডুবি হয়েছে, তাতে উপজেলা নির্বাচনে অবস্থা আরও শোচনীয় হবে। এই ভয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.