নুসরাতের ভাইকে চাকরী ‍দিলেন প্রধানমন্ত্রী

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন গায়ে পেট্রোর ঢেরে আগুন দেওয়ায় দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বাবা একেএম মুসা ও মা শিরিনা আক্তারসহ দুই ভাই।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসে তারা সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে তার কার্যালয়ে যান ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বাবা একেএম মুসা ও মা শিরিনা আক্তারসহ দুই ভাই। এ সময় শেখ হাসিনা নুসরাতের পরিবারের প্রতি সান্তনা ও গভীর সমবেদনা জানান এবং নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকে ট্রেইনি অফিসার পদে নিয়োগ পেয়েছেন নুসরাতের ভাই। এ সময় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা নুসরাতের পরিবারের প্রতি সান্ত্বনা ও গভীর সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীরা কেউই আইনের হাত থেকে কোনভাবেই কেউ রেহাই পাবে না। প্রধানমন্ত্রী তাদের সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাসও দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ওই রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান। এর আগে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা। সেই মামলায় আগে থেকেই কারাগারে ছিলেন তিনি।

নুসরাত চিকিৎসকদের কাছে দেয়া শেষ জবানবন্দিতে বলেছিলেন, নেকাব, বোরকা ও হাতমোজা পরা চারজন তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।

সর্বশেষ ওই হতাকাণ্ডে দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার অধ্যক্ষের নির্দেশেই নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রেফতাররা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.