শিক্ষার্থী সুশিক্ষায় গড়ে না উঠলে জীবনের সব অর্জন ব্যর্থ

0

বিশ্বজিৎ পাল,সিটি নিউজ : শিক্ষার্থী সুশিক্ষায় গড়ে না উঠলে জীবনের সব অর্জন ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ’র অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা মোরশেদ। গত ২ ফেব্রুয়ারী নিজ কার্যালয়ে এ প্রতিবেদকের সাথে একান্ত সাক্ষাতকালে তিনি এমনটি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আজ আমার গর্ব হয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে। এ প্রতিষ্ঠানের অনেক ছাত্র-ছাত্রী সমাজে ভালো পদে আসীন আছেন।

তারা আমাদের কলেজের পরিচিতি বয়ে বেড়াচ্ছে। কলেজের প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকাই শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে আন্তরিক রয়েছেন। তাদের আন্তরিকতায় কলেজটি শিক্ষা বিস্তারে কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে কলেজটি যাতে ভবিষ্যতে আরো ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে সেজন্যে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

একই সাথে অদূর ভবিষ্যতে ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ চট্টগ্রাম মহানগরীর মধ্যে একটি স্বনামধন্য কলেজে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৯ মে চট্টলবীর খ্যাত চট্টগ্রামের মাটি ও গণমানুষের প্রিয় নেতা, সাবেক মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সুযোগ্য সন্তান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

শিক্ষাবান্ধব শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে কলেজের বর্তমান শিক্ষার মান আরো উন্নয়ন হচ্ছে। মোস্তফা মোরশেদ কলেজে শিক্ষার পরিবেশকে আরও সমুন্নত করতে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে একযোগে কাজ করছেন বলেও জানান।
জানা গেছে, ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটি প্রতিনিয়ত সাড়ে আট হাজার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে।

চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট এলাকার দারোগাহাট রোডের কোলঘেঁষে মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটি এক সময় অবহেলিত থাকলেও বর্তমানে শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপর্ণ অবদান রেখে আসছে। কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ক্রমান্বয়ে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল তা বাস্তবে রূপ লাভ করছে। এলাকার শিক্ষানুরাগীদের সহযোগিতায় ১৯৬৪ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটিতে দিবা ও বিকেল দুটি বিভাগেই পড়ানো হয়।

ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে একমাত্র এমপিও ভুক্ত কলেজ যেখানে এইচ.এস.সি. ডিগ্রীর পাশাপাশি ৩টি বিষয়ে বিবিএ,বিবিএ (প্রফেশনাল) ও এমবিএ পড়ানো হয়। এছাড়া মাস্টার্সে ৩টি হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি এবং অনার্সে ৮টি কোর্স চালু রয়েছে। এখানে এমপিও ভুক্ত, সৃষ্টপদ ও খন্ডকালীন তিন ক্যাটাগরিতে প্রায় ৮০ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। সরকার শূন্যপদে আরো ১২ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। চলতি মাসের ২৪ তারিখ থেকে এদের কর্মস্থালে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। যার ফলে এই কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নতির দিকে ধাবিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা মোরশেদ।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে শিক্ষকদের কৌশলী হতে হবে। সারাদেশের শিক্ষার মানের সমতা বজায় রাখতে শিক্ষায়তনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, উচ্চ শিক্ষিত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক দ্বারা নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা ও তাদের পাঠগ্রহণের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষককে পাঠ্যবিষয়ের বিন্যাস করতে হবে। সস্তানের লেখাপড়ার প্রতি মা-বাবা, অভিভাবকের হতে হবে যত্নশীল। সন্তনরা যেন কোনোমতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ফাঁদে পা না দেয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

শিক্ষকতার মতো একটি মহান পেশার প্রতি সর্বস্তরের শিক্ষকদের শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কথা জানান কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ার এই কৃতি সন্তান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা মোরশেদ। একই সাথে শিক্ষক, শিক্ষার্থীর মাঝে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার কথাও বলেন। এ লক্ষ্যে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধিসহ সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। একই সাথে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে শিক্ষকদের কৌশলী হওয়ার কথা বলেন।

তবে নির্লোভ, যোগ্যতাসম্পন্ন, অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা শ্রেণিকক্ষে সুষ্ঠ পাঠদান নিশ্চিত করতে পারলে কোচিং-বাণিজ্য বন্ধ হবে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রবণতা দূর হবে। শিক্ষকতা পেশা কখনো বাণিজ্য হতে পারে না এমন মানসিকতা নিয়ে মেধাবী, সৎ, নিবেদিতপ্রাণ উদ্যমীদের শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করলে দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার চেহারাই বদলে যাবে। উন্নত হবে শিক্ষার সার্বিক মান।

তিনি বলেন, একজন শিক্ষকের সঠিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই সুশৃংখল ও প্রানবন্ত হয়ে উঠে ঐ শ্রেণির কার্যক্রম। শিক্ষক তার নিজস্ব চিন্তা চেতনা, ব্যক্তিত্ব, মেধা-যোগ্যতা, মননশীলতা আর আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। একজন শিক্ষককে হতে হবে দৃঢ়চেতা, উত্তম নৈতিক চরিত্রের অধিকারী, নিরপেক্ষ, অকুতোভয়, সত্যবাদী। তিনি তার অনুপম চরিত্র মাধুর্য দিয়ে শিক্ষার্থীর মন জয় করবেন। এক কথায় তিনি হবেন তার নিজস্ব স্বকীয়তায় অভিনেতা-শিক্ষক, শিক্ষার্থীর নিকট এক অনুস্মরনীয় আদর্শ।

তিনি বলেন, শুধু পরীক্ষায় ভালো ফল করলেই হবে না, শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে। না হলে এই শিক্ষা কর্মজীবনে কোনো কাজে লাগবে না। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থী তৈরি করছে, শিক্ষার্থী নয়।
গত ২৪ জানুয়ারি কোচিং বন্ধের নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়ে নির্দেশনা আসায় শিক্ষা ব্যবস্থার মান আরো উন্নত হবে বলে তিনি জানালেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কাঁধে কোচিং নামক ভূত চেপে বসেছে অনেক দিন থেকে। এতদিন কিছুতেই এ ভূত নামানো যায়নি। বরং ভূতের শক্তি ক্রমশ প্রবল হয়ে শিক্ষার্থীদের ঘাড় মটকে খাবার উপক্রম হয়েছিল। আর এ কাজে সহায়তা করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মা-বাবা, অভিভাবক।

দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো কোচিং সেন্টারগুলো পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার বারোটা বাজিয়েছে বলে তিনি জানান। প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে শুরু করে শিক্ষাদানের নামে কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত একেকজন শিক্ষক হচ্ছেন বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক। বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধিকে করে ফেলছেন সীমাবদ্ধ। কোচিং সেন্টারে তাদের সন্তান কী শিখছে তার হিসাবই ক’জন মা-বাবা রাখেন!

তিনি বলেন, কোচিং সেন্টারনির্ভর শহরকেন্দ্রিক লেখাপড়া ধীরে ধীরে বিত্তশীলদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। তাই স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মফস্বল শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা প্রতিযোগিতায় কুলিয়ে উঠতে পারছে না।
শিক্ষক,যারা শ্রেনীকক্ষে শিক্ষার্থীদের পড়াবেন, উপযুক্ত শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদের সৎ মানসিকতার ভিত রচনা করবেন তারা তা না করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষবিমুখ করে নিজস্ব কোচিং সেন্টারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। এমনকি প্রশ্নের সঠিক উত্তরও বলে দিচ্ছেন। অর্থ উপার্জনের লালসায় এক শ্রেণির শিক্ষক যেন উন্মাদ হয়ে গেছেন। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের বদৌলতে মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সমাধানও ফেসবুক ও মেসেজের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল এক সময়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সরকার নানা ভাবেই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রতিটি নাগরিকের শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক প্রয়াস চালাচ্ছে। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশাল সাফল্য। যা প্রণয়ন করেছেন। এক সময় আমাদের দেশে যে পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করা হত তার কিছু ত্রুটি ছিল। শুধু ফার্স্ট ডিভিশন বা স্টার মার্কস পেলেই চলতনা। শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদি হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করত। এতে শিক্ষার্থীদের শরীর ও মনের উপর প্রচন্ড চাপ পড়ত।

দেশের শিক্ষা মানোন্নয়নের লক্ষ্যে যে কোনো মূল্যে কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ভেঙে দিতে হবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সব সিন্ডিকেট। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার বিকল্প নেই। কোচিং বাণিজ্য নামক মহামারীকে সমূলে বিনাশ ভিন্ন দেশে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যাবে না। পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।

শিক্ষকদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর হতে হবে। মাথা থেকে ঝেরে ফেলতে হবে কোচিং-বাণিজ্যের মানসিকতা। শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে কোচিং সম্পূর্ণ বন্ধ করতে প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতির ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা জরুরি।

বেশ কয়েক বছর ধরে চালু হয়েছে সৃজনশীল প্রশ্ন। শিক্ষার্থীরাও একে খুব সহজে গ্রহণ করেছে। কারণ তারা দেখছে এতে ভালো জিপিএ পাওয়া যাচ্ছে। সৃজনশীলতার কারনে শিক্ষার্থীদের চিন্তাশীলতার বিকাশ হয়। সৃজনশীল প্রশ্নের সৃজনশীল উত্তর দেয়া হচ্ছে কিনা এটা শিক্ষকদের যাচাই করা জরুরী। যেহেতু এর মাধ্যমে আমরা মেধার মূল্যায়ন করছি তার মাপার যন্ত্রটি ঠিক থাকতে হবে। সৃজনশীল প্রশ্নকে কোন কাঠামোতে বন্দী করা যাবে না।
এ সময় সৃজনশীল প্রশ্ন করার জন্য শিক্ষকদের দক্ষতাও খুব জরুরী একটি বিষয় বলে জানান মোস্তফা মোরশেদ। আমাদের শিক্ষার্থীরা যত সহজে এ পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে শিক্ষকরা সেভাবে পারছেন না। এখানে দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে।

১৯৮৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর মোস্তফা মোরশেদ এই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে যোগদান করেন। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তফা মোর্শেদকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকুরির শর্তাবলী রেগুলেশন ২০১৫ এর ধারা অনুযায়ী ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেন জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখা। এর আগে জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের বিধি ও নির্দেশনা মোতাবেক ইসলামিয়া কলেজ পরিচালনা কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। পাশাপাশি কলেজে শিক্ষার পরিবেশকে আরও সমুন্নত করতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে এডহক কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।

এছাড়াও নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ৫ জন সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য হতে যাচাই বাছাই করে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তফা মোর্শেদকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

নতুন অধ্যক্ষকে ৭ দিনের মধ্যে কলেজের রেজিস্ট্রারসহ সকল কাগজপত্র হস্তান্তরের জন্য সাবেক অধ্যক্ষ রেজাউল কবিরকে নির্দেশনা দেওয়া হলে নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ওই বছরের (২০১৭) ২০ নভেম্বর ইসলামিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মোস্তফা মোরশেদ। এ সময় ৪ মাসের অস্থিরতা ও স্থবিরতা কাটিয়ে ইসলামিয়া কলেজে নতুন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নিয়োগ করায় কলেজের শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরেরদিন ২১ নভেম্বর মিষ্টি বিতরণ করেন এবং নতুন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা মোর্শেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.