সড়কে নিহত ৪ শিক্ষার্থীর ক্ষতিপূরণে আদালতের  রুল

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ  চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন শিশু শিক্ষার্থী এবং এক কলেজছাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রত্যেকের পরিবারকে ১লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সাথে কেন ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না জানতে চেয়েছেন আদালত।

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই চার শিক্ষার্থীর পরিবারকে কেন ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারী) জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এ ছাড়া এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১৫ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল হালিম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে গত ২২ জানুয়ারি অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ও ১৬ জানুয়ারি এক কলেজ শিক্ষার্থী এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জে গত ২৮ জানুয়ারি সহোদর দুই শিশু সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।

পরে ওই ঘটনায় চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

পরে আবদুল হালিম বলেন, আদালত ক্ষতিপূরণের আদেশ ছাড়াও দুর্ঘটনার প্রতিবেদন কিংবা মামলা এবং নিহতদের নাম, পরিচয়, চালক ও পরিবহনগুলোর মালিকের পরিচয় আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ছাড়া আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রুল জারি করেন। রুলে সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশ ও বিধি অনুসারে মোটরযান চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণে ব্যর্থতা, ওইসব ঘটনায় মামলা না করা, চালকদের গ্রেপ্তার না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনারসহ ১৪ জন বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে বাসা থেকে বের হয়ে টেম্পো করে স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারায় স্কুলছাত্র কাজী মাহমুদুর রহমান (১৪)। মাহমুদ সরকারি কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। পরে ১৬ জানুয়ারি কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে সড়কে প্রাণ হারান চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বাণিজ্য বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সোমা বড়ুয়া (১৮)।

এ ছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুর মোল্লারপুল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই ভাই-বোন নিহত হয়। তারা হলো হাসনাবাদ কসমোপলিটন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আফরিন (১৩) ও তার ছোট ভাই এবং একই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আফসার উদ্দিন (১০)।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.