আনসার আল-ইসলামের খোঁজে গোয়েন্দারা মাঠে

0

ঢাকা অফিস  :    শুক্রবার দুপুরে খিলগাঁওয়ের পূর্ব গোড়ানে তরুণ ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী নীলাদ্রী চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যার দায় স্বীকারকারী সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আল কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ, বাংলাদেশ শাখা) খোঁজে গোয়েন্দারা মাঠে নেমেছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

আনসার আল ইসলাম নামে কোনো সংগঠনের অস্তিত্ব এবং কার্যক্রম আছে কিনা অথবা হত্যার পর অন্য কেউ এই ধরনের বিবৃতি দিয়েছে কি না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা পুলিশ।

শনিবার ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘কোনো ব্লগারকে হত্যার পর জঙ্গি সংগঠনগুলো দায় স্বীকার করে বিবৃতি পাঠায়। অতীতে যেসব সংগঠন বিবৃতি দিয়েছে সেখানে ওই নামের কোনো সংগঠনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। গোয়েন্দারা আনসার আল ইসলামকে খুঁজতে জোরালেভাবে মাঠে নেমেছে। তারা খুঁজে দেখছে এই সংগঠন থেকে বিবৃতি দেয়া হয় নাকি অন্য কেউ সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বিবৃতি পাঠায়।’

একের পর এক ব্লগার খুন হওয়ার পরও হত্যাকারীদের ধরতে পারছে না পুলিশ, এই বিষয়টি তাকে অবগত করলে তিনি বলেন, ‘এটি পুরোপুরি সত্য নয়। রাজীব হত্যার খুনিরা ধরা পড়েছে। ওয়াশিকুর হত্যায় জড়িতরা ধরা পড়েছে। তাদের বিচার কাজ চলছে। বাকীদের ব্যাপারে তদন্ত শেষ হয়নি, তারাও ধরা পড়বে।’

মিরপুরে ব্লগার রাজীব হায়দার, টিএসসি চত্বরে ব্লগার ও বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়, হাতিরঝিলের পাশে ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু ও সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাসকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে শুক্রবার নীলাদ্রী চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে একইভাবে হত্যা করা হয়েছে।

দুপুরে জুম্মার নামাজের সময় যখন সবাই মসজিদে নামাজ পড়তে বেরিয়েছে সেই সময়ে পূর্ব গোড়ানের ৮ নম্বর গলির ১৬৭ নম্বর বাসার ৫তলায় নিলয়কে চার যুবক উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
ভাড়া বাসাতে স্ত্রী আশামনির সামনেই নিলয়কে নির্মভাবে হত্যা করা হয়। নিলয় নীল নামে লেখালেখি করতেন।

নিলয় গত বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। একটি এনজিওতে চাকরিও করছিলেন তিনি। স্ত্রী ও বন্ধুদের ভাষ্যমতে, হত্যাকারীরা অনেকটা বলে-কয়েই তাকে হত্যা করেছে। যারা তার যুক্তি পছন্দ করতো না, তারা বিভিন্ন সময় তাকে হুমকী দিয়েছে।
শুধু হুমকীই নয়, তার গতিবিধিও নজরদারি করতো চরমপন্থীরা। এই বিষয়টি নিলয় টেরও পেয়েছিলেন। পুলিশকে সেটা জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। রাজধানীর দুইটি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশ তা না নিয়ে পরামর্শ দিয়েছিল দেশের বাইরে চলে যেতে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.