এ্যাওয়ার্ড জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করেছিঃ ইফতেখার বাবুল

0

দিলীপ তালুকদারঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও ১শটি দেশের শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি নেতাদের অর্থাৎ ব্যাক্তিত্বকে “বিশেষ এ্যাওয়ার্ড” এ ভূষিত করা হয়েছে।

আমিরাতে ১০ লাখ বাংলাদেশী প্রবাসীর মধ্য থেকে আমাকে এই দূর্লভ সম্মান আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের। আমার এই এ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করেছি। আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবীর একটি সেভেন স্টার হোটেল আমিরাত প্যালেসের বিশাল হল রুমের পর্দায় আমার দেশের পতাকা ও ছবি যখন নাম ঘোষনার সাথে সাথে ভেষে উঠল তখন আমার হৃদয় শান্তিতে ও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।

এ কথাগুলো বলেছেন আরব আমিরাতের আবুধাবী বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির পর পর তিনবার নির্বাচিত সভাপতি, সংগঠক, সমাজ সেবক, রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বাবুল।

প্রবাসী বাংলদেশীদের সুখে দুঃখে পাশে থাকাসহ আমিরাতের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে সাফল্যলাভ ও অবদান রাখার জন্য প্রায় ১০ লাখ প্রবাসী অধ্যুষিত বাঙালি কমিউনিটি থেকে ইফতেখার হোসেন বাবুলকে Certificate of Excellence Award প্রদান করেছেন আবুধাবী পুলিশ ও আহলিয়া মেডিক্যাল গ্রুপ।

আবুধাবী পুলিশের লেঃ কর্ণেল সাইয়িদ আাল মাঞ্চুরী ও আহালিয়া গুরুপের এমডি ডাঃ গোফায়েলের হাত থেকে এই সম্মাননা গ্রহন করেন তিনি।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান ইফতেখার হোসেন বাবুল বর্তমানে ব্যবসা বাণিজ্য করছেন। সদালাপী, কষ্ট সহিঞ্চু, দেশ প্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একজন ত্যাগী শীর্ষ নেতা।

আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী ইফতেখার হোসেন বাবুল গত সপ্তাহে সিটি নিউজকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রবাসে রাজনীতি বা সমাজ সেবা হচ্ছে দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত। প্রবাসে বা দেশে মানুষের পাশে থাকতে পছন্দ করি। আমার এলাকা রাঙ্গুনিয়াতে সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রি ডঃ হাছান মাহমুদ এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়ন করেছেন।

তার যোগ্য নেতৃত্বে দলকে সুসংগঠিত করেছে। প্রবাসে থাকলেও মন থাকে দেশে। আমি আমার পতাকা, আমার দেশকে ভালবাসি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে উন্নয়নের মহাসড়কে।

এক প্রশ্নের জবাবে বাবুল বলেন, এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি ও কুশলাদি বিনিময়ের সময় হলে সিডিউল পাওয়া গেলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করব। যদিও বিভিন্ন দেশে যাওয়া-আসার সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইত্তেহাদ এয়ারলাইন্সে সফর করলে আবুধাবীতে যতবারই ট্রানজিট করেছেন আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবর্গকে নিয়ে ভিভিআইপি লাউঞ্জে দেখা করেছি। এটা আমার সৌভাগ্য।

আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বাবুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা রক্ষায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। তিনি বার বার হামলার শিকার হয়েছেন। তাই এখন সময় এসেছে আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার পাশে দাঁড়াতে হবে। এটাই হোক আত্মশক্তি প্রকাশের অবলম্বন।

আওয়ামীলীগ বিশ্বের অন্যতম প্রধান গনতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তি। শোষিতের অর্থনৈতিক মুক্তিই এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ও প্রগতির নতুন রোল মডেল। বাবুল বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হলে দেশের সকল নেতাকর্মীর পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।

আওয়ামীলীগের জন্মের মধ্যেই বাঙালির স্বাধীন সত্তা ও অদ্ভ্যুদয়ের ইঙ্গিত মেলে। বাঙালির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছিল। গনতন্ত্র রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে সুদৃঢ় করতে আমাদের দেশে ও প্রবাসে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। মনে রাখতে হবে, গনতন্ত্র, স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এখনো তৎপর। এই অশুভ মক্তির কালো হাত ভেঙ্গে দিতে হবে।

বিশিষ্ট সংগঠক, সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ ইফতেখার হোসেন বাবুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে তরুন সমাজকে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সরকার এই ব্যাপারে র্হ্ডালাইনে আছেন বলে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানগুলো সফল হচ্ছে।

বাবুল বলেন, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন নেতাকর্মীদের জনগনের কাছে তুলে ধরতে হবে। মানুষের কাছে নেতাকর্মীদের যেতে হবে। প্রবাসে থাকলেও দেশের যে কোন দুর্যোগে আমরা সাংগঠনিকভাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগীতার হাত প্রসারিত করে থাকি। রাজনীতি বা সমাজসেবা আমি কোন পদপদবী বা পদকের জন্য করিনা।

সামাজিক কর্মকান্ডে ত্যাগ, আত্ম সংযম ও নৈতকতার মাধ্যমে মানবসেবায় নিবেদিত হতে হবে। দুঃসময়ে যারা কর্মীদের পাশে ছিল তাদের প্রতি আস্থা রাখার সময় এসেছে। এর কোন বিকল্প নেই। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি ও সমাজ সেবায় আত্মনিয়োগ করেছি। প্রবাসী ও দেশবাসীর দোয়া ও প্রত্যাশা করে বলব, সারাজীবন যেন মানুষের পাশে থাকতে পারি।

আমিরাতে যে পদক পেয়েছি তা আমার দেশকে গৌরবান্বিত করেছে। বাঙালি জাতির গৌরব বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যে মানচিত্র, যে পতাকা, যে মাতৃভূমি দিয়ে গেছেন, যে কোন মূল্যে তা সমুন্বত রাখব, দেশের সম্মান এই প্রত্যাশা আমার মত সকল প্রবাসীর স্মরণ রাখতে হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.