কর্ণফুলীতে উচ্ছেদ অভিযান

0

সিটি নিউজ : চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কর্তৃক কর্ণফুলী নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। বাণিজ্যের অন্যতম প্রানকেন্দ্র বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দুই তীর দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য স্থাপনা। বছরের পর বছর প্রভাবশালীদের দখলে সংকুচিত হয়ে পড়ে এই নদী।

আজ সোমবার ৪ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় সদরঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান। সরেজমিন দেখা গেছে, অভিযানের আগেই নদীর পাড়ের অবৈধ কাঁচা, সেমিপাকা, পাকা স্থাপনা সরিয়ে নেন। ক্রেন, গ্যাস কাটার, শ্রমিক দিয়ে নিজ নিজ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে অনেকে। তাহমিলুর রহমান আমার সংবাদকে জানান, হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী অভিযান চালানো হচ্ছে।

সদরঘাট থেকে বারেক বিল্ডিং পর্যন্ত ২০০ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ ইতিমধ্য শুরু করা হয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হবে ততদিন এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিয়েছেন র‌্যাব,পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য তিনি আরো জানান, অবৈধ স্থাপনা ভাংগার কাজে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ (চউক) ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এর পক্ষ থেকে বুলডোজার, স্ক্যাভেটর,পে লোডার ট্রাক সহ নানা সরঞ্জাম দিয়েছে। সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এদিকে ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ জানিয়েছেন, দখলদার যতই প্রভাবশালী হোক, ছাড় দেয়া হবে না। শেষ পর্যন্ত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কর্ণফুলিকে দখলমুক্ত করার।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে গড়ে উঠা অবৈধ ২ হাজার ১৮১ টি স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তবে উচ্ছেদের অর্থ বরাদ্দ না পাওয়াসহ নানা জটিলতায় এতোদিন আটকে ছিল এই কার্যক্রম। সোমবার শুরু হওয়া এই উচ্ছেদ অভিযানের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.