কোতোয়ালি থানায় আসামির মৃত্যু

0

সিটিনিউজবিডি :   কোতোয়ালী থানা হাজতে আসামীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে। পুলিশ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বললেও নিহতের পরিবারের দাবি তাকে থানা হাজতে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকাল নয়টার দিকে কোতোয়ালী থানার বাথরুমে ইসহাক মিয়া (৫০) নামে এক আসামীর লাশ পাওয়া যায়। তিনি বাথরুমের ভেন্টিলেটরের সাথে নিজের শার্ট পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। তবে তার পরিবার পুলিশের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে।

এদিকে এ ঘটনায় সিএমপি পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মন্ডলের নির্দেশে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মিজানুর রহমানকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তিন সদস্যের এ কমিটিতে আরো আছেন, নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার দীপক জ্যোতি খীসা এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর।এ কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইসহাক মিয়া ‘ডে নাইট সিকিউরিটি সার্ভিস’ নামে একটি বেসরকারী নিরাপত্তা সংস্থার হয়ে কাজ করতেন। এ সংস্থাটির হয়ে তিনি নন্দনকানন এলাকায় একটি কোমলপানীয় পরিবেশক জাহিদ এন্টারপ্রাইজের নৈশপ্রহরীর কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
গত ২৭ মে বুধবার রাতে জাহিদ এন্টারপ্রাইজে একটি চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক জাকির খান নৈশপ্রহরী ইসহাক মিয়াকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

কোতোয়ালি থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, আসামি ইসহাক মিয়া আত্মহত্যা করেছেন। টাকা চুরির লজ্জায় তিনি এ পথ বেছে নিয়ে থাকতে পারেন বলে জানান ওসি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.