খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সাথে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিবো

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকার জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তাই তারা আবারো ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা রকম কারসাজি করছে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হবে না। বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সাথে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিবে। নির্বাচনও হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাবে।

তিনি আজ মঙ্গলবার ৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর মুক্তির দাবীতে নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে তিনি আরো বলেন, সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে চাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা মনে করছে এভাবে মামলা দিয়ে ও গ্রেফতার করে বেশী ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে পারবে না। বিএনপির নেতা কর্মীরা বেঁচে থাকতে তাদের এই ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না।

ডা. শাহাদাত বলেন, সমকালীন রাজনীতিতে তারেক রহমান সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। কারণ দেশে এখন অন্ধকার শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ। তারেক রহমানের উপর সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত। তাকে নানাভাবে বিপর্যস্ত ও বিপন্ন করার জন্য সরকার কূটচাল চালিয়ে যাচ্ছে। তথাকথিত আইনী প্রক্রিয়ার নামে মিথ্যা মামলা ও অন্যায় সাজা দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা অব্যাহত রেখেছে। নির্দোষ তারেক রহমান সরকারের প্রতিহিংসা ও আক্রোশের শিকার।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, চারিদিকে আওয়ামি লীগ সরকারের পতনের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

সরকার নানা রকম দুঃস্বপ্নে অস্থির ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মানুষের বাকস্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্রকে হরণ করে দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার। তিনি বলেন, সরকারের জলুম নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে চারপাশ থেকে ধেয়ে আসাছে প্রতিবাদী মানুষের টর্নেডো। সরকার ভয় পেয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছেন। তাই কখনও ভয় দেখাচ্ছে, কখনও ধমকের সুরে কথা বলছে। প্রতিবাদি কণ্ঠকে গ্রেফতার করছে, গুম করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ঈদের আগে অন্যায় ভাবে রাজপথের পরীক্ষিত নেতা চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গুম, খুন, গ্রেফতার, নির্যাতন করে ক্ষমতার টিকে থাকার যে স্বপ্ন দেখছেন তা দেশের জনগণ হতে দেবে না। জনগণ জেগে উঠেছে তার প্রমাণ ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির জনসমাবেশ। তিনি অবিলম্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বেলায়েত হোসেন বুলুর নি:র্শত মুক্তির দাবী জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, আগামী নির্বাচন যে সবদলের অংশগ্রহণে হবে সেটির কোনও সদিচ্ছা বর্তমান সরকারের নেই। সামনে নির্বাচন, অথচ আজও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা জনগণের দাবি নিয়ে লড়াই করছি। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন শুধু বিএনপির দাবি নয়, দেশের জনগণের দাবি। আমরা জনগণের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে লড়াই করে যাচ্ছি। আমরা সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব চাই, আর সেটি জনগণেরই দাবি। তিনি জনগণের ন্যায্য দাবি আদায়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দিন, ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মো: শাহ আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, সহদপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সি.সহ- সভাপতি তফাজ্জল হোসেন, সহসভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.