চট্টগ্রামে বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

0

সিটি নিউজ,চট্টগ্রাম :  বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুুুুবের রহমান শামীম বলেছেন, সরকার যে আশায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে তাদের সে আশা কখনো পুরণ হবে না। বাংলাদেশে বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচন হবে না। দেশের সাধারণ মানুষ গণ আন্দোলনের মাধ্যামে গণ অভ্যুথান সৃষ্টি করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবে।

১২ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে নগরী কাজির দেউরীস্থ নুর আহাম্মদ সড়কে বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত তিনদিন ব্যাপি কর্মসূচির প্রথম দিনে চট্টগ্রাম মাহানগর বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সরকারের পছন্দ হচ্ছে না।

আওয়ামীলীগ চেয়েছিলো বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা কর্মীরা গাড়ী ভাঙ্গচুর করুক। আর এই সুযোগে আওয়ামীলীগ গাড়ীতে আগুন দিয়ে মানুষ মারত, আর দোষ চাপাত বিএনপির উপর। বিএনপি রায় ও সাজাকে কেন্দ্র করে কোন সহিংস আন্দোলন করেনি তাই সরকারী দল হতাশ। তিনি বলেন, জিয়া এতিম খানা মামলার সাথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কোন সম্পৃক্ততা ছিলনা। তাকে অন্যায় ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। দূর্নীতির কোন আইনে তাকে সাজা দেওয়া হয়নি। তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে প্যানাল কোডের ৪০৯ ও ১০৯ ধারায়। শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতারা ৫ মাস আগে থেকেই বলে আসছে বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হবে। এতেই বুঝা যায় সরকারি নির্দেশে আদালত এই সাজা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে প্রতিবাদ একটি অপরিহার্য শর্ত। কিন্তু আওয়ামীলীগ সেটি কখনোই বিশ্বাস করে না। গত কয়েক দিনে বিএনপি নেতাকর্মদেরকে বিরাম হীন গ্রেপ্তারের মধ্যদিয়ে সরকার আবারও প্রমাণ করল দেশে সভা সমাবেশ করা অধিকার কারো নেই। অধিকার কেবল মাত্র আওয়ামীলীগ এবং তাদের অনুগত দলগুলোর। ভোটার বিহীন সরকার নাগরিক অধিকার কেড়ে নিতে জনগণকে দাসে পরিণত করেছে। দুঃশাসনের করাল গ্রাসে বন্দি গণতন্ত্র এখন মুক্তির জন্য আর্তনাদ করছে। কিন্তু সরকার সারা দেশটাকেই এখন কারাগারে পরিণত করেছে। তিনি অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যা সাজা বাতিল করে সম্মানজনক মুক্তির দাবি জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বিএনপির উপর সরকার যতই নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চালাচ্ছে, ততই বিএনপির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বেগম জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে তার জনপ্রিয়তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার মামলার রায়ের দিন ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করলেও বেগম খালেদা জিয়া অবিচলভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে আদালতে গিয়ে ইতিবাচক রাজনীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সরকারের মারমুখী ভূমিকার বিপরীতে তার দৃঢ় এবং অবিচল অবস্থান সাধারণ মানুষের মাঝে নতুন পরিচয় তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে।

আগামী নির্বাচনেই তার বর্হিপ্রকাশ ঘটাবে। ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা আওয়ামীলীগের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে। তাই সরকার ভীত হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপিকে দুর্বল করতে টার্গেটে পরিণত করেছে। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন সহ চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। তিনি ১৩ ফেব্র“য়ারি মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি সফল করার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ শামসুল আলম বলেন, মুসলিম বিশ্বের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের তিন বারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারগারে অন্তরিন করে সাধারন কয়দির মত আচরন করেছে। সরকারের নির্দেশ ছাড়া কারামহাপরিদর্শক এমন আচরন করতে পারেনা। এতে স্পষ্ট বুঝা যায় সরকার মামলার রায়ে আদলততে প্রভাব খাটিয়ে বেগম জিয়াকে মিথ্যা সাজা দিয়েছে।

মানববন্ধন সংহতি প্রকাশ করে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মো: মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, হাজী মো: আলী, জয়নাল আবেদিন জিয়া, হারুন জামান, নিয়াজ মো: খাঁন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, এসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, মোশারফ হোসেন দীপ্তি, টিংকু দাশ, গাজী মো: সিরাজ উল্লাহ, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, আলহাজ্ব বাবর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, হাজী মো: তৈয়ব, প্রচার সম্পাদক সিহাব উদ্দিন মোবিন, মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, নগর বিএনপির সহ সাধারন সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দিন, জি এম আইয়ুব খাঁন, আবু জহুর, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মাহামুদ আলম পান্না, এম আই চৌধুরী মামুন, হামিদ হোসাইন, হাজী নুরুল আক্তার, মো: আলী, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, থানা বিএনপি’র সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, কাউন্সিলর মো: আজম, মোশারফ হোসেন ডেপতি, ডা: নুরুল আফসার, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপি’র সহ সম্পাদক বৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো: রফিকুল ইসলাম, মো: ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো: শাহ জাহান, রেহান উদ্দিন প্রধান, আজাদ বাঙ্গালী, আবু মুছা, শফিক আহামদ, আবদুল মতিন, ফয়েজ আহাম্মদ, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, সালাউদ্দিন লাতু, থানা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, জসিম উদ্দিন জিয়া, নুর হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, রোকন উদ্দিন মাহামুদ, হাবিবুর রহমান, নগর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, জাসাস সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ শিপন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম রাশেদ খাঁন, সদস্য শেখ রাসেল, জমির উদ্দিন নাহিদ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.