চট্টগ্রামে মানববর্জ্য শোধনাগার উদ্বোধন কারলেন মেয়র

0

সিটি নিউজঃ  নগরীর জালালাবাদ ওয়ার্ডস্থ আরেফিন নগরে ২০ কাঠা জায়গার ওপর নির্মিত মানববর্জ্য শোধনাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন মানববর্জ্য শোধনাগারের ফলক উম্মোচন করে এর উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব নগরের পথে আরেক ধাপ এগোল চট্টগ্রাম। ৭০ লাখ মানুষের এ নগরের সবচেয়ে বড় মানববর্জ্য শোধনাগার এটাই । এই শোধনাগার তৈরীতে ওসাপের ১কোটি ২০লক্ষ টাকা ব্যয় হয়।

আজ রবিবার (৫ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনের সাথে আলাপকালে সিটি মেয়র বলেন প্রতিদিন ২০ হাজার লিটার বর্জ্য এখানে শোধন হবে। সে হিসেবে বছরে প্রায় ৭৩ লাখ লিটার বর্জ্য শোধিত হয়ে সারে পরিণত হবে। এই প্রকল্পটি নগরকে পরিবেশবান্ধব করার লক্ষ্যে অন্যতম একটি অর্জন। শহরের সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার ও মানববর্জ্য অপসারণে এই শোধনগার বড় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি আরো বলেন, বর্জ্য অপসারণে সুইপ সার্ভিসের ৪টি ভ্যাকুয়াম ট্যাংকার (গাড়ি) চসিকের সহযোগিতায় মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ওয়াটার এন্ড সেনিটেশন ফর দ্য আরবান পুয়রকে (ওসাপ) এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তিনি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন বর্তমানে মানব বর্জ্য শোধনাগারে ২১ টি ড্রইং বেড বিদ্যমান।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় বেসরকারী উদ্দ্যেক্তাদের মাধ্যমে পরিচালিত সুইপ সার্ভিস যা সেপটিক ট্যাংক/ পিট ল্যাট্রিন থেকে মানববজ্য সংগ্রহ করে বিদ্যমান ড্রাইং বেড গুলোতে অপসারণ করবে। প্রতিটি ড্রাইং বেড এর ধারণ ক্ষমতা ১০ হাজার লিটার। প্রতি ১৪ দিন পর পর ড্রাইং বেড হতে বর্জ্য কেক সংগ্রহ করে তা সিটি কর্পোরেশনের কো-কম্পস্টিং প্লান্ট এ পাঠানো হবে। এই বর্জ্য কেক হতেই অত্যান্ত আধুনিক উপায়ে মানসম্মত সার উৎপাদন করবে। যা আমাদের কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহুত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ প্রসংগে মেয়র বলেন,  নগরীতে দীর্ঘস্থায়ী, সাশয়্রী, ন্যায্যতা ভিত্তিক ও লাভজনক ওয়াশ কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নেতৃত্বে একটি ফিক্যাল স্লাজ ম্যানেজমেন্ট স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ফিক্যাল স্লাজ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে সার্বিক পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা প্রদান করে থাকে। বলাবহুল্য ওসাপের অর্থায়নে চট্টগ্রাম নগরীতে ইতিমধ্যে সুইপ সার্ভিস নামে চারটি ভ্যাকুয়াম ট্যাংকার বেসরকারি উদ্দ্যেক্তার মাধ্যমে চসিকের সহয়তায় মানব বজ্যর্ ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হচ্ছে।তারই ধারাবাহিকতায় আজ ২ টি ভ্যাকুয়াম ট্যাংকার হস্তান্তর করে ওসাপ বাংলাদেশ।

ওসাপের নির্বাচিত উদ্দ্যোক্তা মেসার্স ফোরক আহমেদ এন্ড সন্সকে চসিকের মাধ্যমে ইজারা চুক্তির আওতায় প্রদান করা হয় ভ্যাকুয়ান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ শাহেদ ইকবাল বাবু,চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী,পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ওসাপের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুস শাহিন, স্যানিটেশন লিড হাবিবুর রহমান, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার মঞ্জুর মোরশেদ। পরে মেয়র ২০ কাঠা জায়গার ওপর নির্মিত এই শোধনাগারের সার্বিক বিষয় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

এদিকে স্থানীয় একটি হোটেলে চসিক প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামশুদ্দোহা নিকট কোলাবোলেশন পত্র,ভ্যাকুয়াম ট্যাংকার প্রদান পত্র এবং উদ্দ্যোক্তার সাথে ইজারা চুক্তি সম্পাদন করে ওসাপ বাংলাদেশ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.