চন্দনাইশে অলির বাড়ীতে কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত
দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশঃ বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার অতিরিক্ত রাষ্ট্রদূত, বর্তমান নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী রবার্ট ম্যাক ডুকেল ২০ দলীয় জোটের মুখপাত্র এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কর্ণেল অলি’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
আজ রবিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম-১৪ চন্দনাইশ সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব ড. কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রমের গ্রামের বাড়ি চন্দনাইশে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করেন।
এ সময় কর্ণেল অলি অতিরিক্ত রাষ্ট্রদূত ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষক রবার্ট ম্যাক ডুকেলকে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট প্রকাশ করেন। কর্ণেল অলি বলেন, চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে যারা নির্বাচনী প্রচারনা করছে তাদেরকে রাতে পুলিশ দিয়ে হয়রানী ও গ্রেপ্তার করছে। তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে তারই সন্তান ওমর ফারুক সানিকে দূর্বৃত্তরা মারাত্মকভাবে আহত করে। এ ঘটনার পেছনে তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর ভাই জসিম উদ্দীন মন্টু ও এলডিপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার সরাসরি জড়িত রয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা বিজিবি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও পোলিং অফিসার যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ঈমানীভাবে পালন করার জন্য অনুরোধ জানান। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এদেশ আপনাদের, এদেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য আপনাদেরকে দিক নির্দেশনা দিতে হবে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এদেশকে স্বাধীন করেছি, এদেশের মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। এবারের নির্বাচন এবং অন্যান্যবারের নির্বাচনের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। অন্যান্য নির্বাচনে কেয়ারটেকার সরকার দায়িত্ব পালন করতেন। কোনকিছু সমস্যা হলে তার মাধ্যমে সমাধান করা হত। বর্তমানে একটাই কথা বলা হচ্ছে, আমাদের নিকট উপরের চাপ আছে।
চন্দনাইশের ব্যাপারে আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চন্দনাইশে ঘটে যাওয়া ঘটনা অবহিত করেছি। ওবায়দুল কাদের টেলিফোনে বলে দিয়েছেন, চন্দনাইশে যেন কোন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয়। তারপরও নির্বাচনকে উপলক্ষ করে কিছু অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী তাদের সাথে থাকা শতাধিক ক্যাডার চন্দনাইশ থানার আশেপাশে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে এলডিপি’র সমর্থকদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি চাই না। প্রতিহিংসার রাজনীতি বর্জন করার জন্য প্রতিপক্ষকে তিনি আহবান জানান। চন্দনাইশের মানুষ এখন নিরাপদ নয়। রাতের বেলা, দিনের বেলা সাধারণ মানুষকে প্রশাসনের মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। চন্দনাইশে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। নির্বাচনের পূর্ব মূহুর্তে এ ধরনের পরিবেশ কারও কাম্য নয়। এ ব্যাপারে তিনি নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।