চমেক হাসপাতালে বাবুল আকতার কান্নায় ভেঙে পড়েন

গোলাম সরওয়ার :  চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন পুলিশ সুপার বাবুল আকতার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর মরদেহ দেখতে । আজ ৫মে রোববার সকালে স্ত্রী খুন হওয়ার সময় বাবুল আক্তার ছিলেন ঢাকার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে। খুনের খবর পেয়েই সেখান থেকে হেলিকপ্টারে বাবুলকে পাঠানো হয় দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে। এরপর সেখান থেকে গাড়িতে সকাল পৌনে ১১টার দিকে চমেক জরুরি বিভাগে পৌঁছান তিনি। কিন্তু সেখানে পৌঁছেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অসম সাহসী এই মানুষটি। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে স্ত্রীর মরদেহের পাশে না নিয়ে আরএমও’র কক্ষে বসতে দেওয়া হয়। কিছুটা ধীরস্থির বা স্বাভাবিক হলেই মরদেহের পাশে যাওয়ার অনুমতি দেবেন চিকিৎসকরা ।

চট্টগ্রাম ক্যানটেনমেন্ট পাবলিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র আকতার মাহমুদ মাহি ।  তাকে স্কুলের গাড়িতে তুলে দিতেই হেঁটে বাসার অদূরের জিইসি মোড়ে যাচ্ছিলেন মা মাহমুদা খানম মিতু।

জিইসি মোড়ের ইকুইটি সেন্ট্রিয়াম ভবনের ‘সেভেন ডি’ অ্যাপার্টমেন্টের পরিবেশে শোকের ছায়া নেমেছে , চোখে জল সবার,নিস্তেজ শরীরগুলো।  অ্যাপার্টমেন্টেই থাকতেন পুলিশ সুপার বাবুল আকতার, তার দুই সন্তান ও তার সদ্য নিহত স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু ।

আদতে বছর সাড়ে চারের ছোট্ট তাবাস্মুম তাজনীম তাপুরের ওসব বুঝার বয়স এখনও হয়নি। তবে আজ বাসার পরিস্থিতি দেখে, বড় ভাই আকতার মাহমুদ মাহির মায়ের জন্য হাহাকার দেখে, আশপাশে প্রিয় মা’কে না দেখে সেও বুঝে গেছে মা তার আর নেই।

 উল্লেখ্য, শোকে মুহ্যমান ছেলেটা কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকে ‘তিনজন মোটরসাইকেলে করে এসে প্রথমে মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এসময় তারা আমাকে একটু দূরে সরিয়ে দেয়।পরে মায়ের পেটে তারা চাকু দিয়ে পর পর আঘাত করে। এরপর মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়।এ সময় সৌভাগ্যবশত ছোট ছেলেটি দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.