চিংড়ির তুলকালাম:সালিশি বৈঠকে বর ও কনে পক্ষের সমাধান
আনোয়ারা প্রতিনিধি,সিটি নিউজ : আনোয়ারায় বিয়ের প্রীতিভোজে চিংড়ি মাছ না দেওয়ায় তুলকালাম কান্ড ঘটেছিল। অবশেষে সালিশি বৈঠকে বর ও কনে পক্ষের সমাধান হয়েছে । আনোয়ারার দুই ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠকে কনেকে ঘরে নেওয়ার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেন বরপক্ষ।
চিংড়ি মাছ না দেওয়ায় তুলকালামের পর আজ সোমবার ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় সালিশি বৈঠকে বসে বর ও কনে পক্ষ। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হওয়া ৩ ঘন্টার বৈঠকে স্থানীয় বটতলী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী ও বরুমছড়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, দেনমোহরের বাইরে বিয়ে অনুষ্ঠানে বিবাদের জন্য কনের নিরাপত্তা হিসাবে আরো ৩ লাখ টাকা অতিরিক্ত প্রদান করবেন বর আলমগীর। এই টাকা নগদ প্রদান করে আগামী শুক্রবার কনেকে ঘরে নিয়ে যাবেন। এছাড়া আগের কাবিননামা অনুযাযী ৭ লাখ টাকা দেনমোহর ও স্বর্ণালংকার বাবদ ৮০ হাজার টাকা উসুলের সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। এছাড়া বিয়ে অনুষ্ঠানে উচ্ছৃংখল আচরণের জন্য মেযের বাবার কাছে ক্ষমা চান বর আলমগীর।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ১১নং জুইদন্ডী ইউনিয়নের ৮নং খুরুসকুল গ্রামের হাজী বাড়ীর আবদুল মোনাফের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীর (৩০) সাথে একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক ব্যবসায়ীর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। ১৮ দিন আগে আকদ অনুষ্ঠানে দেনমোহর ছিল ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা।
গত বৃহস্পতিবার বটতলী আলভী ম্যারেজ গার্ডেনে প্রীতিভোজের আয়োজন ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের আমিরাত প্রবাসী বরের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে কনেপক্ষ ৫শ’ বরযাত্রীসহ প্রায় ৮শ’ লোকের প্রীতিভোজের আয়োজন করে। মুরগির রোস্ট, খোরমাসহ নানা উপাদেয় আইটেমে ভোজের আয়োজন করা হয়। কিন্তু খাবার আয়োজনে চিংড়ি মাছ না থাকায় বাকবিতন্ডায় জড়ায় বর আলমগীর। এক পর্যায়ে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিযের দিন মেয়ে পক্ষ কনেকে তুলে দিতে অপারগতা জানালে আজ সোমবার সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।