জাতীয় পার্টির সাথে ঐক্যমতের ভিত্তিতে আসন বন্টন হবেঃ আব্দুস সামাদ

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের জোটভুক্ত বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা স. উ. ম আব্দুস সামাদ। একাধারে কলামিষ্ট, ইসলামী গবেষকও তিনি। আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সমন্বয় কমিটির সদস্য, ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সভাতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ’৯০ সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে লড়েছেন।

১৯৮০ সালে ইসলামী ছাত্রসেনার প্রতিষ্ঠাকালীণ আহ্বায়ক কমিটির সদস্যও ছিলেন। ’৯০ সাল থেকে ইসলামী ফ্রন্টের সাথে জড়িত আব্দুস সামাদ। বর্তমানে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের প্রেসিডিয়াম সদস্য। আরবী সাহিত্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স করেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ইসলামী ষ্টাডিজে মাষ্টার্স করেছেন।

সিটি নিউজ বিডি ডট কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আব্দুস সামাদ বলেন, সারাদেশে ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক তৎপরতা অত্যন্ত শক্তিশালী। বিগত দিনে আমরা সংসদ নির্বাচন করেছি। চট্টগ্রামে মেয়র নির্বাচনে আমরা ভাল অবস্থানে ছিলাম, কিন্ত নির্বাচন কিভাবে হয়েছে তা আপনি নিজেই অবগত। চট্টগ্রামে চলমান রাজনীতিতে ২টি দলের পরই আমাদের অবস্থান।

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনের প্রস্তুতি গ্রহন করছি। আমরা অংশ গ্রহন করতে পারি যে, চট্টগ্রামে বড় ২টি দলের সাথে পাল্লা দিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। সাংগঠনিক কর্মকা- অতীতের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশী। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আব্দুস সামাদ বলেন, আগামী ২টি আসনকে টার্গেট করে কাজ করছি। একটি হচ্ছে চট্টগ্রাম-১৪, অন্যটি চট্টগ্রাম-৮, অর্থাৎ ১৪ আসন চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক ও চট্টগ্রাম-৮ হচ্ছে বোয়ালখালী ও চট্টগ্রাম শহরের ৫টি ওয়ার্ড। এই ২টি আসনের ব্যাপারে আমি আশাবাদি তবে ৩টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিব।

সাতকানিয়া- লোহাগাড়া আসনেও আমার অবস্থান ভাল। সর্বশেষ সমঝোতার ভিত্তিতে আসন বন্টন জোটের সিদ্ধান্ত হবে। এটা চট্টগ্রাম-১৪, চট্টগ্রাম-১৬ হতে পারে। নির্বাচনের আসন বন্টন জোটের সিদ্ধান্ত হবে চুড়ান্ত। প্রতীক বরাদ্ধ পর্যন্ত আসলে কিছু বলা যায়না। অগ্রিম কিছু বলা যাচ্ছে না। জাতীয় পার্টির সাথে ঐক্যমতের ভিত্তিতে আসন বন্টন হবে। সাম্প্রতিক সময়ের ঐক্যজোট সম্পর্কে আব্দুস সামাদ বলেন, যে কোন ভোটকে আমরা স্বাগত জানাব। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদে যারা জড়িত তাদের সাথে জোট হচ্ছে কিনা।

স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সাথে কোন জোট হতে পারে না। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমরা সব সময় ছিলাম। এখনও আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। সুতরাং যারা জোট করবেন, জোট নিয়ে এগিয়ে যাবেন তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এরা অতীতে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল কিনা। অকল্যাণকর কোন পদক্ষেপ নিয়েছিল কিনা। দেশ ও জাতির অকল্যাণকর কাজ এরা করেছিল কিনা। এ ব্যাপারে জোটের নেতৃবর্গকে সতর্ক থাকতে আমি অনুরোধ জানাব।

বিশিষ্ট সংগঠক, রাজনীতিবিদ, ইসলামী চিন্তবিদ আব্দুস সামাদ বলেন, জোট নির্বাচনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। গত ৭ এপ্রিল চট্টগ্রামে লালদিঘীতে জোটের সমাবেশে অন্যান্য সঙ্গীয়দলের মধ্যে আমাদের ইসলামী ফ্রন্টের বিশাল জনসমাবেশ জানান দিয়েছে, আমরা জোটের সমাবেশে সংখ্যাগরিষ্ট ছিলাম। আপনি নিজেও জানেন, চট্টগ্রামে আমাদের বিশাল কর্মকা- সাংগঠনিক ভাবে চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।

বিশষ্ট সংগঠক আব্দুস সামাদ বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাবে। বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। প্রচুর উন্নয়ন কর্মকা- হয়েছে এবং হচ্ছে। তবে যে কোনভাবে যোগ্যতা ছাড়া কওমীদের মাষ্টার্স সনদ দেওয়া যাবেনা। জঙ্গীবাদী নেতাকর্মীদের প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা। এরা ভোটের বাক্সের কাছে যেতে পারলে কোন হেফাজতী-জঙ্গীবাদীরা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না।

এই কাজটি ভূলেও তারা করবে না। সরকারকে কোন কোন গোষ্ঠী ভুলপথে পরিচালিত করে হেফাজতীদের বিনা প্রশ্নে তাদের নিচের দিকে কোন সনদ দেওয়া ছাড়া মাষ্টার্স সনদ দেওয়া হচ্ছে। এটা জাতির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। একদিন ১০/২০ বছর পর হলেও আওয়ামী লীগকে এটার জন্য মাসুল দিতে হবে। এই ভুলের জন্য আওয়ামী লীগ একদিন আফসোস করবে। তখন সেই ভুল শোধরানোর সময় থাকবে না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.