টেকনাফে পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও লক্ষ টাকার সিগারেট বিক্রি

0

গোলাম সরওয়ার,টেকনাফ,সিটিনিউজ :: আগস্ট মাসের শেষে বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা আসার পর থেকে ঐ অঞ্চলের স্থানীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ।

স্থানীয়রা বলছেন, বাজারে চাল, মাছ থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে।

রোহিঙ্গাদের একটি বড় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে টেকনাফ উপজেলায়। সেখানে প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে নতুন নতুন রোহিঙ্গার আগমন।

ফলে স্থানীয় বাজারে প্রত্যেক জিনিসের দাম বাড়ছে। চাল, ডাল, মাছ আর আলুর মত নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আর বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে।

টেকনাফে কর্মরত সিগারেট কোম্পানির ডিলারদের কাছ থেকে জানা যায় সেখানে তিনদিন তিন লক্ষ টাকার সিগারেট এবং বিড়ি বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ দিনে লক্ষ টাকার সিগারেট ও বিড়ি বিক্রি হয়।

দোকানিরা বাড়তি জনসংখ্যার চাপকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।

বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়েনি ফলে দাম বাড়ানোর জন্য সেটিও দায়ী । এই পুরো অবস্থার জন্য স্থানীয় মানুষদের ভোগান্তি বেড়েছে।

রোহিঙ্গা আসার ফলে বাংলাদেশের স্থানীয় শ্রমিকদের জন্য বাজার সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে না থেকে আশেপাশে আত্মীয়-বাড়ি কিংবা বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করেছে। এরপর তারা স্থানীয় শ্রম বাজারেও ঢুকে পড়ছে।

আর সংখ্যায় অনেক হওয়ায়, তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না অনেক সময়। সেকারণে স্থানীয় মানুষদের কাজের সুযোগ সংকুচিত হয়ে পড়ছে।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, গত ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এসেছে ।

যদিও সীমান্তরক্ষী ও স্থানীয় পুলিশ বলছে, এ সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠলে এর সাথে জড়িত লোকদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হচ্ছে।

কিন্তু স্থানীয়রা মনে করেন, পরিস্থিতির কারণেই কর্তৃপক্ষ অনেক সময় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.