দেশে ভোটের হাওয়া

0

এডভোকেট সালাহ্উদ্দিন আহমদ চৌধূরী লিপু,সিটি নিউজ :

সারাদেশে চলছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া। বাংলাদেশ এখন নির্বাচনী ট্রেনে। লেগেছে নির্বাচনের পালে জোরে হাওয়া। প্রতিদিন আসছে নতুন নতুন চমক। আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নতুনভাবে জোটবদ্ধ হয়েছে। পূর্ব থেকে জোটবদ্ধ আছে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা সহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার নিশ্চিত করা, নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা প্রদান, গণমাধ্যমে ও সকল রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশের স্বাধীনতা এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা, দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির নিশ্চয়তা প্রদান, সকল কালো আইন বাতিল করা নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সহ সেনাবাহিনী মোতায়েন, নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশি ও আর্ন্তজাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনকালিন চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা ও কোনও ধরনের নতুন মামলা না দেয়ার নিশ্চয়তা প্রদানের দাবিতে ৭ দফা ও এগারটি লক্ষ্য ঘোষণা করে ডঃ কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গত ১৩ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ ঘটে।

গত ০১ নভেম্বর হতে সরকার ও তাদের শরিক ১৪ দলের সাথে বিভিন্ন জোটের সংলাপ শুরু হলে তা সমাপ্তি ঘটে গত ০৭ নভেম্বরে।

তারই ধারাবাহিকতায় ডাঃ এ,কিউ,এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট, এইচ, এম,এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় জোট ০৫ নভেম্বর, বাম দলীয় জোট, ১৬ দলীয় ইসলামী দল ও ২৫ দল ০৭ নভেম্বরে বিভিন্ন দফায় গণভবনে সংলাপ করেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ০১ ও ০৭ নভেম্বরে দুই দফা বৈঠক করেন। সরকার দ্বিতীয় দফা বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাতি ৭ দফা দাবি মানতে অপরাগতা প্রকাশ করলে পরবর্তীতে তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচন কমিশন পূর্ণগঠন ও বিদ্যমান সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ৩ দফা দাবি সরকারের কাছে পেশ করলেও সরকার তা মানতে সন্মত হয়নি।

তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রথম ১৯৭৩ সালের ০৭ মার্চ, দ্বিতীয় ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্র“য়ারি, তৃতীয় ১৯৮৬ সালের ০৭ মে, চতুর্থ ১৯৮৮ সালের ০৩ মার্চ, পঞ্চম ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্র“য়ারি, ষষ্ট ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি, সপ্তম ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, অষ্টম ২০০১ সালের ০১ অক্টোবর, নবম ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর, দশম ২০১৪ সালের ০৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ০৮ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে, এম নুরুল হুদা টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মাধ্যমে নির্বাচনের তপসিল ঘোষণা করেছেন। তপসিল অনুযায়ী আগামী ১৯ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ও ভোট গ্রহণের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ঘোষণা করলেও পরবর্তীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবির প্রেক্ষিতে ২৮ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ও ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর পুনঃনির্ধারণ করেছেন।

এ অবস্থায় অনেক নাটকীয়তার পর নীতিগত সিদ্ধান্তের পর তাদের দাবিকৃত ৭ দফা থেকে সরে গিয়ে কোনো শর্ত বিহীন নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে উল্লেখে গত ১১ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডঃ কামাল হোসেন ও ২০ দলীয় জোটের নেতা কর্ণেল অলি আহমদ পৃথক সাংবাদিক সন্মেলনের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে ঘোষণা করেন।

উৎসব মূখর পরিবেশে এখন দেশের সকল রাজনৈতিক দল মনোনয়ন ফরম বিক্রি শেষ করেছে। আওয়ামীলীগ ০৯ নভেম্বর হতে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ৪০২৩টি, বিএনপি ১৩ নভেম্বর হতে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৪,৫৮০টি ও জাতীয়পার্টি ১১ নভেম্বর হতে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ২,৪১৮টি ও অন্যান্য দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। নিবন্ধিত ৩৯ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজারের উর্ধে। যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক।

রাজনীতিতে না থাকলেও আসন্ন নির্বাচনে প্রায় ৫০ আমলা, বিভিন্ন পেশাজীবি ও শতাধিক ব্যবসায়ী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। ইতিমধ্যে জাতীয়পার্টি আওয়ামীলীগের কাছে শতাধিক আসন, অন্যদিকে জামায়াত ৩৫টি ও অন্যান্য শরীকদল ১০০টি বিএনপির কাছে আসন দাবি করেছে।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে দেশে যথাসময়ে নির্বাচন হতে হবে। শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়ে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা প্রদর্শনে সক্ষম হয়েছেন। তিনি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ইতিবাচক মনে করেন বিশিষ্টজনরা। তাই প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের বিশিষ্টজন ও আপমর জনসাধারণ তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছেন। সকলের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের ফলে স্বতঃস্ফূর্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রখর ছিল।

একই সঙ্গে তার সৎ সাহসের বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার জয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বরাবরই বলে আসছেন,‘জনগণ চাইলে ক্ষমতায় থাকবো, না চাইলে থাকবো না। ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ দল বিএনপি। বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বিএনপি যে ভূল করেছে, তাদের অস্তিত্ব যে সংকটের মধ্যে নিপতিত হয়েছিল, তা থেকে উত্তরণের একটি উপায় আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।

গণতন্ত্রকে আরো সুসংহত ও শক্তিশালী করতে এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে হঠ্যাৎ যেন স্বস্তির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নির্বাচনী আমেজের মধ্যে হঠ্যাৎ করে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো গত ১৪ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের সন্মুখে ঘন্টাব্যাপী দলটির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্র পরিণত হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয় এবং আরো কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করা হয়। এ সংঘর্ষে পুলিশ,সাংবাদিক, বিএনপি নেতাকর্মী সহ অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন।

বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন বানচাল বা তৃতীয় শক্তির আর্বিভাবের লক্ষ্য এ ঘটনার নেপথ্যের কারণ মনে করেন রাজনৈতিক বোদ্ধাগণ। এ সংঘাত রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত। বিএনপি যদি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অগ্রহণযোগ্য করার জন্য তারা ২০১৪ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও নীতি অনুসরণ করে, তাহলে তাদের দল ও দেশের জন্য এক ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। বিএনপি ও তাদের মিত্ররা পূর্ব থেকেই ঘোষণা দিয়েছিল, এই নির্বাচন কমিশনের উপর তাদের আস্থা নেই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন নয়। খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এখন বিএনপি বলছে, লেভেল প্লেইং ফ্লিড তৈরী না হলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডঃ কামাল হোসেন আইনজীবি সমাবেশে বলেছেন, কোনো অবস্থাতে নির্বাচন বয়কট নয়। তবে এখনও জাতি স্পষ্ট নয় আদৌ তারা নির্বাচন করবেন কিনা।

ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ প্রতিদিন নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন দাবি ও অভিযোগ দাখিল করছেন। তবে কারণে অকারণে অভিযোগ তুলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা কারো কাম্য নয়। এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুটি মামলায় দন্ডিত হওয়ায় নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত। অপরদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলায় দন্ডিত হওয়ায় নির্বাচনে তারও অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবেনা।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ডঃ কামাল হোসেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি, আ,স,ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মনসুর অন্যতম নেতা। ডঃ কামাল হোসেন সংবিধান প্রণেতা এবং তৎকালিন বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রী, তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয় বরণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় ব্যতীত কোন নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হতে পারেননি। সবসময় সুবিধাবাদী হিসেবে পরিচিত ডঃ কামাল হোসেন। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর হোটেল পূর্বাণীতে এক সাংবাদিক সন্মেলনে ডঃ কামাল হোসেন বলেছিলেন, ধানের শীষ প্রতিক বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে, ধানের শীষ প্রতিক হলো প্রতারণা, প্রবঞ্চনার ও জনগণের ভোটাধিকার হরণের প্রতিক। এই প্রতিকের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন ইতিহাসে কলঙ্ক রচনা করা হয়েছে।

১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ,স,ম আবদুর রব তৎকালিন এরশাদ সরকারকে বৈধতা দেয়ার জন্য গৃহপালিত প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না যিনি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অভিযুক্ত। তার সেই ফোনালাপ দেশবাসী গণমাধ্যমে শুনেছেন। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি মুিক্তযুদ্ধকালিন সময়ে একটি সেক্টর কমান্ডার কিন্তু তিনি অশুভ শক্তির সাথে হাত মিলিয়েছে, সুলতান মনসুর ১/১১ এর অন্যতম কুশলীব। তাদের মুখে কি গণতন্ত্রের বুলি মানায়।

এরা সকলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক, কিন্তু ডঃ কামাল হোসেন গং পথভ্রষ্ট হয়ে নীতি, নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে ক্ষমতার লিপ্সায় মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি জামায়াতের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এখন বিএনপি-জামায়াতের মুখপাত্রের ভূমিকা রাখছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপির চেয়ে এরা সোচ্চার বেশী। যে বিএনপি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড বন্ধে ইনডেমনিটি আইন জারি করেছিল। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের পূর্ণবাসন করেছিলেন। যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যাকান্ড হয়েছিল, সেই বিএনপি-জামায়াতের সাথে সখ্য গড়ে নাকি ক্ষমতায় গেলে ডঃ কামাল হোসেন গং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন।

৩০ লাখ শহীদের আত্মদান ও ২ লক্ষ নারীর সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে স¤প্রতি সময়ে উন্নতি ও অগ্রগতি দৃশ্যমান। উন্নয়ন মুগ্ধ করার মতো অগ্রগতি অর্জন করেছে এদেশ। বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পর্যায়ে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই সকলের আন্তরিক প্রয়াস। এ দেশে ভোট একটা উৎসব। ্তা যেন এবার উৎসবের মতোই নির্বিঘœ হয়। জাতির প্রত্যাশা সে উৎসবমূখর পরিবেশটা যেন অটুট থাকে, তা যেন কোনো অশুভ শক্তি নস্যাৎ করতে না পারে।
লেখক ঃ- রাজনীতিবিদ, কলামিষ্ট ও সংগঠক।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.