পার্বত্য এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা
শ্যামল রুদ্র,খাগড়াছড়ি,সিটিনিউজ :: পার্বত্য চট্রগ্রামের পৌর নাগরিকেরা পর্যাপ্ত পানি সুবিধা পাচ্ছে না বলে জানা গেছে। ফলে পাহাড়ের কয়েক লাখ মানুষ সুপেয় পানির অভাবে নিদারুন কষ্ট করছে।
সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত ইনকু¬সিভ বাজেট ও সম্পত্তি মূল্যায়ন সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় খাগড়াছড়ির পৌর মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পার্বত্য চট্রগ্রামের তিন জেলার বাইরে দেশের ৬১ জেলায় ৩২১টি পৌরসভা রয়েছে। পার্বত্য চট্রগ্রামে আছে ৭টি।
কিন্তু সমতল এলাকার পৌর নাগরিকদের মতো পাহাড়ের মানুষ নাগরিক সুবিধার নামমাত্রও পান না। অন্যান্য অসুবিধা গুলোর পাশাপশি পানীয় জলের প্রকট সঙ্কট রয়েছে এখানে।
পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, আরবান গর্ভানেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকশান ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (ইউজিআইআইপি) এর আওতায় সমতল এলাকায় পৌর নাগরিকদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ দেওয়া হচ্ছে।
অথচ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের দোহাই দিয়ে পার্বত্য এলাকার খাগড়াছড়ি, রামগড়, মাটিরাঙ্গা, রাঙ্গামাটি, বাঘাইছড়ি, বান্দরবান ও লামা এই ৭ পৌর সভার প্রায় ৪ লাখ মানুষকে তাঁদের অধিকার থেকে বিচ্যুত করা হচ্ছে।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের অপ্রতুল কার্যক্রমেও তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।
এ সময় খাগড়াছড়ি পৌরসভার সচিব পারভিন আক্তার, প্রশিক্ষক মাহবুব আলম, উপ-প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার দে, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় উপস্থিত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. সোহরাব হোসেন বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর এই বিভাগটি জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত হয়েছে
তাই এখানে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তারপরও খাগড়াছড়ি শহরে ৩৫০টি নলকূপ বসিয়ে পানীয় জলের যোগান দেওয়া হচ্ছে।