ফটিকছড়িতে মানবতার প্রতীক সাদী

0

জুবায়ের সিদ্দিকী,সিটি নিউজ: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার স্বপ্নবাজ এক তরুন রাজনীতিবিদ সমাজসেবক দানবীর শিল্পপতির নাম সাদাত আনোয়ার সাদী। তার পিতা কামরুল আনোয়ার মুক্তিযুদ্ধের সময় রেডিও ত্রিপুরার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ইংরেজী সংবাদ পাঠক ছিলেন। মাতা কামরুন নাহার বেগম। সাদাত আনোয়ার সাদীর দাদা মরহুম জমিদার আহমেদ শামশুল আনোয়ার দীর্ঘ ২৫ বছর নানুপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও জেলা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তিনি নানুপুরের জমিদার ছিলেন। দাদী ছিলেন শাহজাদী সৈয়দা গোলছাফা বেগম মাইজভান্ডারী। তিনি উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত সুফি সাধক গাউছুল আজম মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (রহ:) মাইজভান্ডারীর একমাত্র কন্যা শাহজাদী সৈয়দা আনোয়ারুন নেছা মাইজভান্ডারীর কনিষ্ট কন্য।

সাদীর চাচা তৌহিদুল আনোয়ার নানুপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, জেলা কাউন্সিলের সদস্য ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এর চেয়ারম্যান ছিলেন। বড় দাদা খাঁন বাহাদুর আবদুস সোবহান তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন।

মাতৃকুল দিক দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট ও বিশ্বস্থ সহচর সাবেক গণপরিষদ সদস্য ভাষা সৈনিক ৬ দফা আন্দোলন চট্টগ্রামের অন্যতম রূপকার মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জননেতা আব্দুল্লাহ আল হারুনের আপন ভাগিনা সাদাত আনোয়ার সাদী। ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নের ঐহিত্যবাহী ভোঁফকির বাড়ির সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান সাদাত আনোয়ার সাদীর জন্ম ১২ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৪ ইং।

রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান সাদাত আনোয়ার সাদীদের চট্টগ্রাম শহরস্থ দেওয়ান বাজার নবাব সিরাজ উদ দৌলা সড়কে ঈশ্বরনন্দী লেইনের বাড়িটি ছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগের দুর্গ ও ঠিকানা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় নেতা শহীদ তাজ উদ্দিন, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, প্রয়াত জননেতা জহুর আহম্মদ চৌধুরী, এম.এ আজিজ, এম.এ হান্নান, আব্দুল্লাহ আল হারুন, আতাউর রহমান খান কায়সার, মোসলেম উদ্দিন আহমদ, এম.এ মান্নান, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, আমেনা বেগম, আব্দুর রাজ্জাক সহ তৎকালীন জাতীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে ৬ দফা আন্দোলন ও মুক্তির সংগ্রামের অনেক গোপন বৈঠক সাদাত আনোয়ার সাদীদের বাড়িতে করেছেন।

বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আইভি রহমান সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পদচারনায় এই বাড়িটি মুখর থাকত। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য সাদী কিশোর বয়সে বাড়িতে দেখেছেন রাজনীতির চিত্র। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ছিলেন দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। পরে কলেজ জীবনে চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজ ছাত্রলীগের আপ্যায়ন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতির পাশাপাশি তরুন শিল্প উদ্যোক্তা ও সফল ব্যবসায়ী হিসাবে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।

সাদাত আনোয়ার সাদী বাংলাদেশ আওয়ামী পেশাজীবি লীগ চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাবেক সাধারন সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার পক্ষে কাউন্সিলর ছিলেন। বর্তমানে ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সদস্য ও নানুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য তিনি।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাদীর সমাজ সেবামুলক কর্মকান্ড অনেক ব্যাপক তার মধ্যে ১) চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ, ফটিকছড়ি থানা ও ভুঁজপুর থানা পুলিশকে একটি এ্যাম্বুলেন্স সহ ৭ টি গাড়ি প্রদান, ২) ফটিকছড়িতে ২টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নে প্রচন্ড শীতে গরীব অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন, ৩) ফটিকছড়ি সদরে ২০ শয্যার সরকারী হাসপাতালে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সচল করা, ৪) ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ্যাম্বুলেন্স প্রদান, ৪) ফটিকছড়ি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ২ বছরের ভাড়া ২ লক্ষ টাকা এককালীন ও প্রতিমাসে কার্যালয়ের ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা, ৫) সাদীর অর্থায়নে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের বাথরুম নির্মান, ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অজুখানা ও ইবাদত খানা নির্মান ও আধুনিক ডিজিটাল সাউন্ড সিষ্টেমের ব্যবস্থা, ৬) ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকীতে মেজবানের ব্যবস্থা, ৭) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুজা পার্বনে অনুদান, ৮) উপজেলার ১১টি এতিমখানায় মাসিক চাল, ডাল প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা। এ ছাড়া সাদাত আনোয়ার সাদীর ভবিষ্যত পরিকল্পনা রয়েছে আরও ব্যাপকভাবে। সাদী যদি মনোনয়ন পান এবং নির্বাচিত হন তবে রয়েছে সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা।

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ১) ফটিকছড়িতে একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল নির্মান, ২) ফটিকছড়িতে শিল্পজোন প্রতিষ্টা, ৩) ঢাকা-চট্টগ্রামের বিকল্প সড়ক ফটিকছড়ির উপর দিয়ে তৈরী করা, ৪) নাজিরহাট হতে রামগড় ভারত সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন নির্মান, ৫) বাংলাদেশ ভারত ফটিকছড়ি সীমান্তে স্থল বন্দর নির্মান, ৬) হাটহাজারী হতে ফটিকছড়ি পর্যন্ত সড়ক ডাবল লাইনে উন্নীত করা, ৭) উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রশস্তকরন ও উন্নয়ন, ৮) উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করা, ৯) হালদা নদী সহ উপজেলার নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা।

আওয়ামী লীগের রাজনীতির ঘরানার ও ফটিকছড়ির সম্ভ্রান্ত পরিবারের অদম্য সাহসী, কষ্ট সহিষ্ন, সদালাপী মানুষ সাদাত আনোয়ার সাদী নিজের, জন্মস্থানে অর্থাৎ ফটিকছড়িকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলে একটি আধুনিক ও মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। ফটিকছড়ির মাটিতে আলহাজ্ব রফিকুল আনোয়ারের পর এখন সাদী যেমন দানবীর হয়ে উঠেছেন। সেভাবে ফটিকছড়ির মানুষও তাকে আপন করে নিয়েছে। এদিকে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সাদীর প্রশংসিত কর্মকান্ড প্রচারিত হচ্ছে।

এই অগ্রযাত্রায় মানুষের শতস্ফুর্ত সহযোগিতায় সাদী আগামী দিনগুলোতে এগিয়ে যাবেন বলে এলাকাবাসী বিশ্বাস করেন। যে মানুষ মানুষের কল্যানে নিবেদিত প্রান মানুষের সুখে-দু:খে সাথী হন তাকে ফটিকছড়ির মানুষ নেতা হিসাবে দেখতে চায়। যারা সস্তা জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ব্যক্তিত্ব জাহির ও রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিনত করেছেন তাদের থেকে আলাদা চট্টগ্রামের একজন সাদামাটা মানুষ সাদাত আনোয়ার সাদী। আলাপচারিতায় সাদী বলেছেন তার অনুভুতি।

ফটিকছড়ির মানুষ যারা অসহায়, দরিদ্র, তাদের জন্য আগামী দুয়েক মাস পরে রোগীদের বিনামুল্যে পরিবহনের জন্য একটি এ্যম্বুলেন্স প্রদান করা হবে। দুস্থ মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা সহ মাদ্রাসা মক্তবে দান অনুদান আমার অব্যাহত আছে। ২০টি ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের সমন্বয় করে শাড়ি, লুঙ্গি, চাল সহ নানা সামগ্রী বিতরণ করেছেন। রাজনীতি করছি মানবসেবার মাধ্যমে। এখন মনোনয়নের বিষয়ে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, আমাকে দিয়ে ফটিকছড়ির কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব তাহলে মনোনয়ন পাব। যদি মনে করেন, আমাকে দিয়ে সম্ভব না, তাহলে মনোনয়ন পাব না। দলের মনোনয়ন পাই বা না পাই- মাঠে আমি আছি. সবসময় থাকব।

সাপ্তাহখানেক পরে কৃষকদের মধ্যে কিটনাশকের মেশিন ও ধানের বিজ সরবরাহ করা হবে। যাতে করে তারা ভালভাবে ফসল উৎপন্ন করতে পারে। কৃষি উপকরন হস্তান্তর করা হবে ইনশাআল্লাহ। সাম্প্রতিক সময়ে জনকল্যান কাজের মধ্যে বেশকিছু জরাজীর্ন সড়কের উন্নয়নে জেলা পরিষদের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। কিছু সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। কোন কোন সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। সাদীর নিজস্ব অর্থায়নে নাজিরহাট কাজির হাট সড়কের ভাঙ্গন রোধ করতে ও মেরামতের জন্য দেড়লক্ষ টাকা প্রদান করেছেন।

বালি, কংক্রিটের বস্তা দিয়ে হালদার ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা করেছেন। বল্লি দিয়ে শেষতক ভাঙ্গন প্রতিরোধ হয়েছে। অনেকদিন বন্ধের পর রাস্তাটি চালু হয়েছে। পুলিশের এ্যাম্বুলেন্স অর্থাৎ জেলা পুলিশের এ্যাম্বুলেন্স ছিল না। ডাবল কেবিন পিকআপ দিয়েছেন। একটি অত্যাধুনিক এ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। সীতাকুন্ড থানায়ও ডাবল কেবিন পিকআপ দিয়েছেন। এসপি অফিস ও ডিবি পুলিশকে জীপ ও মাইক্রোবাস দিয়েছেন। ফটিকছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করেছেন। শীতের সময় কম্বল বিতরন করেছিলেন।

ফটিকছড়ি ফেনি জেলা থেকে একটি বড় এলাকা। ফটিকছড়ির এ্যাম্বুলেন্সকে ২ লাখ টাকা খরচ করে আবার নতুন করে দিয়েছেন। যা এখন রোগী পরিবহনে নিয়োজিত আছে। ডা: সেলিম ভাইয়ের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ফটিকছড়িতে হস্তান্তর করা হয়েছে একটি এ্যাম্বুলেন্স। বর্তমানে সামাজিক কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাদী জড়িত।

দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের কল্যানে তাদের দান অনুদান সব সময় অব্যাহত আছে। এবার ঈদের সময় প্রায় ২০টি ইউনিয়নে দরিদ্র মানুষকে ঈদ উপহার দিয়েছেন। সাদী বলেছেন.’রাজনীতি করি ত্যাগের, শ্রমের বিনিময়ে মানুষের উপকারের। ভোগে নয়, ত্যাগের রাজনীতিতে আমি বিশ্বাস করি। মানুষের পাশে আজীবন থাকতে চাই। সাদী তার অদম্য কর্মশক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন মানবতার কল্যানে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.