ফটিকছড়িতে মানুষের আর্তনাদ ও সাদীর মানবতা

0

জুবায়ের সদ্দিকীঃ মানুষ মানুষের জন্য। এই মহান ব্রতকে হৃদয়ে ধারণ করে আর্তমানবতার সেবায় মননিয়োগ করেছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কৃতি সন্তান, দানবীর, রাজনীতিবিদ, সংগঠক ও ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাদাত আনোয়ার সাদী। বিগত ২ বছর যাবত তিনি ফটিকছড়ির একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটছেন মানবতার কল্যাণে।

মানুষের সুখ-দু:খের সাথী হয়েছেন। দুর্গত মানুষের মাঝে সাহায্য সহায়তা করেছেন নি:স্বার্থভাবে। কোন অহংকার বা বড় পদ পদবী না থাকলেও তার এই মানবিক কর্মকান্ড ও সাংগঠনিক তৎপরতা উপজেলা আওয়ামী লীগকে চাঙ্গা করে রেখেছে। স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যা ফটিকছড়ির হাজার হাজার মানুষকে ঘরছাড়া করেছে। দুর্ভোগ ও দুর্গতিতে মানুষ এখনও খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। বন্যায় মারা গেছেন ৩ জন।

ফটিকছড়ির বিভিন্ন গ্রামের মাটির ঘরগুলো বিলীন হয়ে গেছে। ফটিকছড়ির হাজার হাজার বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষ যখন আর্তনাদ করেছে সামান্য ত্রান সামগ্রীর জন্য। তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাদাত আনোয়ার সাদী। এখনও ফটিকছড়ির বিভিন্ন গ্রামে বানভাসী মানুষের আহাজারী চলছে। উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের প্রায় ১৩ শ পরিবারের কাছে ত্রান বিতরণ করেছেন সাদী।

প্রতি পরিবারে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল দিয়েছেন। যাদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের মধ্যে একাধিক পরিবারে দিয়েছেন ঢেউটিন। অনেক পরিবারে দিয়েছেন নগদ অর্থ সহায়তা। ফটিকছড়ির বন্যাদুর্গত জনপদে অসহায় মানুষের পাশে সাদীর এই উপস্থিতি প্রশংসনীয়। আওয়ামী লীগের তৃনমুল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় তার এই সাহায্য ছিল মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, এমপি, মন্ত্রী বা বিত্তবানরা যখন বন্যার্ত মানুষের কাছে যাননি তখন সাদী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পানিবন্দ্বী মানুষের কাছে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর, ফটিকছড়ি পৌরসভা, লেলাং, সমিতির হাট, নাজিরহাট পৌরসভা, রোসাংগিরী, নানুপুর, সুয়াবিল, পাইন্দং ও সুন্দরপুর। এ ছাড়া নিচিন্তাপুর গ্রাম, মাইজভান্ডার, বেড়াজালি, বাবুনগর, দৌলতপুর, পুর্ব ফরহাদাবাদ,বারমাসিয়া গ্রাম, বখতপুর, ফতেহপুর, ভাঙ্গা দিঘীর পাড় সহ অগনিত গ্রামে মানুষের কাছে তিনি ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। তৃনমুল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে সংগঠিত করে আওয়ামী লীগের এই মানবতাবাদী নেতা সাদাত আনোয়ার সাদী এখন পরিকল্পনা করছেন বন্যার পানি নেমে গেলে ধানের বীজ ও সার বিতরন করবেন।

হালদা ও ধুরুং খালের প্রবাহিত বন্যার পানি মানুষের শুধু ভিটেমাটি নয়, ফসলের জমিও ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের সময় অসহায় মানুষের কল্যানে মানবতার ডাকে এই আওয়ামী লীগ নেতার সরব উপস্থিতি যেন প্রাণ ফিরে এসেছে বানভাসী গ্রামগুলোতে। ফটিকছড়ির স্মরণকালের দীর্ঘস্থায়ী এই বন্যায় হাজার হাজার মানুষের সাহায্যার্থে সরকারী কোন সাহায্য পর্যাপ্ত ছিল না। কারো ভাগ্যে কিছু জুটলেও বৃহৎ অংশ কোন ত্রানসামগ্রী পাননি।

এতে করে রয়েছে মানুষের ক্ষোভ। ভোটের সময় সবাই ভোট নিতে আসলেও মানুষ যখন পানিবন্দী, অভুক্ত, অসহায় তখন তাদের ছায়াও দেখা যায়নি। যারা সাধারন মানুষের কল্যান বা অধিকার নিয়ে রাজনীতি করেন, বড় বড় বুলি ছাড়েন, কোটি কোটি টাকা দামের গাড়ি হাঁকিয়ে যখন আসেন জনসভা ও সমাবেশ করতে তখন তাদের বক্তব্যে মানুষের জন্য দরদ উথলে পড়ে। কিন্তু বাস্তবে উল্টো। দুর্যোগ-দুর্ভোগে তারা মানুষের কাছে এসে দাঁড়ায় না। আওয়ামী লীগ একটি বড় সংগঠন। এই সংগঠনের নেতৃবর্গ মানুষের অনুভূতি অনুধাবন করতে পারে।

যে কারনে আওয়ামী লীগ নেতা সাদী তৃণমুলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে ঝাঁপিয়ে পড়েন সাহায্য সামগ্রী নিয়ে। এটা মানবতার কল্যান। সাদী একজন মানবতাবাদী জনদরদী ও সময়ের সাহসী ব্যক্তিত্ব। এলাকাবাসী জানান, সাদী যদি ত্রান সামগ্রী বিতরণ না করতেন তাহলে পরিবার পরিজন নিয়ে আমাদের উপোসে দিনাতিপাত করতে হত। সাদী ভাই সাহায্য সহায়তা বন্যার সময়, বন্যার আগে ও রমজানে বিতরন করেছেন।

তিনি কখনো বস্ত্র, রমজানে ইফতার সামগ্রী, ঢেউটিন, ঈদ উপহার সহ সারাবছর পার্বন, উৎসব সব সময় সাধারন মানুষকে দুহাতে দিয়ে আসছেন। আল্লাহ ফটিকছড়িতে আলহাজ্ব রফিকুল আনোয়ারের পর একজন সাদীকে দিয়েছেন। যিনি মানবতার এক মুর্ত প্রতীক। আমরা বানভাসী মানুষের পক্ষ থেকে সাদী ভাইকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

যে মানুষটি জনগনের কল্যানে স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। আর্তপিড়িত মানুষের আহাজারী-আর্তনাদ যার কাছে পৌঁছালে ছুটে আসেন দুর্গত এলাকায় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এক লডাকু সৈনিক। রাজপথ তাকে আন্দোলন সংগ্রামে ডেকেছে আয়, আয়। দুর্গত অসহায় মানুষ তাকে নিয়ে ভেবেছে এই নেতাকে কি পাওয়া যায়? মিছিল স্লোগানে যেভাবে ছিলেন জনতার কাতারে সেভাবে দুর্গত বানভাসী মানুষের ভিড়ে নিজের উপস্থিতি প্রমান করেছেন তিনি। কোন কিছুই তাকে আটকে রাখতে পারেনি।

যার রক্তে আওয়ামী লীগের ঘরানার রক্ত প্রবাহিত। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জননেতা আব্দুল্লাহ আল হারুনের ভাগিনা তিনি। বড় হয়েছেন রাজনৈতিক পরিবারে। মানুষের দু:খ, কষ্ট ও যন্ত্রনায় তিনি নিশ্চুপ থাকতে পারেন না।

সাদী সিটি নিউজ বিডিকে বলেছেন, রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আল্লাহ আমাকে যতটুকু দিয়েছেন তার থেকে অসহায় মানুষকে কিছু দিতে পেরে আমি আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করছি। দোয়া, স্নেহ-মমতা, ভালবাসা, আশির্বাদ সব কিছুই সাধারন জনগনের অন্তুরের থেকে প্রত্যাশা আমার। মাটি ও মানুষের ভালবাসায় মানুষের পাশে থাকতে চাই। বানভাসী মানুষ বা অসহায় কোন মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করা আমাদের কর্তব্য। জীবনের সুদীর্ঘ সময় রাজনীতি ও সমাজ সেবা আমার রক্তেই আছে। আওয়ামী লীগ প্রাচীন ও বিশাল দল।

দেশের রাজনীতিতে এখন জননেত্রী শেখ হাসিনার সমকক্ষ বা বিকল্প নেই। তাঁর হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ। তাঁর যোগ্য নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের কারনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দও আজ বলছে, ’ তিনি ত্যাগী, সৎ ও মমতাময়ী। বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শের কর্মী হিসাবে গ্রামীন জনপদে মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করছি। দলের স্বার্থে যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার মত অনেকে আছেন।

ওদের আখাঙ্খা থাকা দোষের কিছু নেই। দলের আদর্শিক শিক্ষা হল দেশের ও দলের স্বার্থে সঠিক সময়ে নেত্রীর সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি অধিকতর ভাবে কাজ করার সুযোগ পাব। ফটিকছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের মাধ্যমে সর্বমোট ১২০ বস্তা চাউল ও ১৪ বস্তা ডাল সহ বিভিন্ন সময়ে এবং ঈদ ও রমজানে ব্যাপকভাবে লুঙ্গি-শাড়ী, কম্বল সহ নানা সামগ্রী বিতরনকারী সাদাত আনোয়ার সাদী একজন ত্যাগী, পরিশ্রমী ও আওয়ামী লীগের আদর্শিক জননেতা।

মানুষের দু:খের সময় যিনি সাহায্যের হাত প্রসারিত করের তিনি একজন মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ব। ফটিকছড়ির জনগনের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আওয়ামী লীগের তৃনমুলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের আন্তরিকতায় এই বিশাল কর্মকান্ড সাদী সম্পন্ন করেছেন। একই সঙ্গে ফটিকছড়িতে মানুষের কল্যানে তার সাহায্য-সহায়তা অব্যাহত আছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.