ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : সম্প্রতি প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছে ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ সড়ক । উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেই সাথে হালদা, ধুরুংসহ বিভিন্ন নদী ও খালের পাড় ভেঙ্গে গিয়ে চরম ঝুঁকিতে আছে এসব নদী ও খাল পাড়ের ব্যাপক জনগোষ্ঠী।
সরজমিনে দেখা গেছে উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কাজিরহাট-গাড়িটানা সড়কের ভুজপুর অংশে হালদা নদীর উপর ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গত কয়েক বছর আগে নির্মিত ব্রিজের গোড়ায় সিসি ব্লক সরে গিয়ে ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থ গ্রহণ না করলে রাস্তাটি দিয়ে যান চলাচল যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। উত্তর ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউপির হেঁয়াকো-ধুলিয়াছড়ি সড়কটি একাধিক স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে মানুষের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ফটিকছড়ি পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডের কে এম টেক- বেড়াজালি সড়কের একটি অংশ ধুরুং খালে বিলীন হয়ে গেলে সড়কটি দিয়েও যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। ফলে এসব এলাকার মানুষের ভোগান্তির অন্ত নেই। এরকম প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই গ্রামীণ অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অপরদিকে হালদা নদী ও ধুরুং খালের অন্তত ২০/৩০ টি স্থানে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বহু পরিবার হুমকির মুখে জীবন যাপন করছে। বেশ কিছু ঘরবাড়ি হালদা গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে পুরোনো বাপ-দাদার বসতভিটা হারাতে হচ্ছে অনেককে। হালদার পাড়ের ব্যাসিন্দারা জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কতিপয় প্রভাবশালী নেতারা কোন নিয়মনীতি ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে বালি উত্তোলন করার ফলে নদীগুলো দিন দিন রাক্ষুসে হয়ে উঠছে এবং বর্ষায় তা ভয়ঙ্কর রূপ লাভ করছে।
উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন-এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুজপুরে হালদা ব্রিজটির দু’পাশের পিলারের উভয় দিকে মেরামত করা হবে। যাতে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। অন্যান্য রাস্তাঘাটগুলো সংস্কারেও সাধ্যমত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। ভূজপুর ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ জানান, ব্রিজটি রক্ষা করা না গেলে দুই উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ফলে হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিভাগের আরও খবর