বংশাল-টেকপাড়া খাল খনন ও সম্প্রসারণ পুণঃ বিবেচনা করুন

0

সিটি নিউজঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীনের সাথে চসিক কনফারেন্স হলে সাক্ষাত করলেন নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের কয়েক শত জেলে সম্প্রদায়। সাক্ষাতকালে তারা সিটি মেয়রের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।

আজ রবিবার (১২ মে) দুপুরে মেয়রের কাছে প্রদত্ত এই স্মারকলিপিতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ফিরিঙ্গী বাজারস্থ বংশাল রোড হতে টেকপাড়ার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত টেকপাড়া খাল খনন ও খালের পাড় সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজের ধরণ পুণঃ বিবেচনার কথা উল্লেখ রয়েছে।

স্মারকলিপিতে তারা জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহিত প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক সদিচ্ছার ফসল। এজন্য তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট কর্তৃজ্ঞতা প্রকাশ করে এই জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় ফিরিঙ্গী বাজারস্থ মহিম দাশ রোড চুড়িয়াল টুলী লেইন হতে শুরু হয়ে বংশাল রোড, নোয়াপাড়া ১,২,৩ নং গলির দক্ষিণ পার্শ্বে এবং টেকপাড়ার পূর্ব পার্শ্বে বান্ডেল খাল প্রবাহিত হয়ে কর্ণফুলী নদীর সাথে মিলিত হয়েছে । যা খনন ও নালা সম্প্রসারণের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এই প্রসংগে স্মারকলিপিতে তারা আরো উল্লেখ করেন, উক্ত খাল পাড়ের ইটের দেওয়ালযুক্ত খালের সীমানা দেওয়ান রয়েছে।

সীমানা দেওয়াল বাইরে দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত প্রায় ৩০/৪০ হাজার মানুষ যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উক্ত খাল খননের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিলে অত্র এলাকার বাসিন্দাগন অত্যন্ত আনন্দিত হন।

পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় খাল খনন এর সাথে সাথে খাল সম্প্রসারনের কাজ অত্র এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের আতংকিত করে তুলছে। অত্র এলাকায় উক্ত খাল পাড়ের অধিকাংশ বাসিন্দা জেলে সম্প্রদায়ের লোক ও হতদরিদ্র। তারা খাল পাড়ের অল্প জায়গায় ঘর করে বসবাস করে আসছে।

এই মুর্হূতে খাল সম্প্রসারণের কারণে তাদের উচ্ছেদ করলে তারা তাদের পূর্ব পুরুষদের নিকট হতে উত্তরাধিকারী সূত্রে পাওয়া ভিটে মাটি হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে এবং তাদের মাথা গুজিবার মত আর কোনো জায়গা থাকবে না। এমতাবস্থায় স্মারকলিপি দাতারা সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচিতে অত্যন্ত আনন্দিত হলেও নিজেদের ভিটে মাটি হারিয়ে উদ্বাস্ত হবার ভয়ে ভীত সন্ত্রাস্থ হয়ে পড়েছে। বলাবহুল্য উক্ত খালটির প্রায় ৬০০ মিটার পর্যন্ত যথেষ্ট প্রশস্থ এবং তাতে কোনো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

সিটি মেয়র তাদের বক্তব্য শুনে বলেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার। গ্রাম-গঞ্জের মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বদা আন্তরিক। মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জনসাধারণকে উচ্ছেদ নয়- পূর্ণবাসনই এ সরকারে মূল লক্ষ্য।

তাই ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্ণবাসন না করে,উচ্ছেদের মত গহিত কাজ এ সরকার করবে বলে তিনি মনে করেন না। সিটি মেয়র তাদেরকে আশ্বস্থ করে বলেন আপনাদের দাবী -দাওয়া সমুহ যথাযর্থ কর্তৃপক্ষ-এর সাথে আলোচনা করা হবে এবং তা আশু সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এই সময় কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিল্পবসহ স্মারকলিপিদাতাদের মধ্যে প্রদীপ দাশ,সুনিল দাশ,মনমহন দাশ,মিলন দাশ,দীলিপ দাশ, পরিমল দাশ, সুরঞ্জয় দাশ, কাজল দাশ, হরিকমল দাশ, কিরণ দাশ, সুজন দাশ, প্রফুল্লরঞ্জন দাশ, নেপাল দাশ, রায়মহন দাশ, চন্দ্রমহন দাশ, শ্যামল দাশ, স্বপন দাশ, ভুপনি দাশ, সুজিৎ দাশ, রাজমহন দাশ, বজেন্দু দাশ, শিমুল দাশ, বিষ্ণু দাশ, বিরেন্দ্র দাশ, রাজেন্দ্র দাশ, রাজমহন দাশ, দীপক দাশ, সুমন দাশ, মহমহন দাশ, খুশিমহন দাশ, অনিল দাশ, অরুন দাশ, প্রদীপ দাশ, নিবারন দাশ, মিলন দাশ, কৃষ্ণা দাশ, বিষ্ণু দাশ, ননিগোপাল দাশ, শশী মোহন দাশ, প্রভাত দাশ, সুমন দাশ, রুবেল দাশ, কালাবাশী দাশ, আশিষ দাশ, রাজেন্দ্র দাশ, সজল দাশ, নিকুঞ্জ দাশ, সন্তোষ দাশ ও শিমুল দাশ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.