বন্দরের উন্নয়নে সরকারের সফলতা প্রশংসনীয়ঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ

0

গোলাম সরওয়ারঃ বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক, জাতীয় শ্রমিক লীগ (ডক বন্দর অঞ্চলের), ডক জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক, বিভিন্ন সময়ে (ক্রীডা সম্পাদক, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সাধারন সম্পাদকের ) দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যবসায়ী সংগঠন মেরিন সাপ্লাইয়ার্স ও মেরিন ঠিকাদার হিসাবে বর্তমানে বাংলাদেশ বাঙ্কার সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশনের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৮৬ সাল থেকে তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ ছাড়া বন্দর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ৩৬ নং ওয়ার্ডের শ্রম সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন মোহাম্মদ ইলিয়াছ।

সিটি নিউজ বিডি ডট কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,’ চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের স্বর্নদ্বার। দেশের শতকরা ৮০ ভাগ আমদানী-রপ্তানী হয় এই বন্দরে। বহি:বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বন্দরকে আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। বিগত দিনে অনেক সরকার ছিলেন, তারা সেভাবে বন্দরকে ঢেলে সাজাতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করেননি।

বিএনপি জামায়াত আমলে কোন উন্নয়ন না করায় বন্দরকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে বন্দরের আধুনিকায়নের সুচনা হয় এবং পর-পর দুইবারে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন চেয়ারম্যানদের দায়িত্বরত অবস্থায় বন্দরের সত্যিকারের অবকাঠামোগত পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন হয়েছে। তবে কন্টেইনার ইয়ার্ড থেকে মালামাল লোড নিয়ে যাওয়া আসায় সুযোগ সুবিধা যেভাবে থাকার কথা সেটা আশানুরূপ নয়।

আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াছ বলেন,’ কর্নফুলী নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ার কারনে অনেক জেটিতে ১,২,৩ যথাযথ কার্গো জাহাজ ভিড়তে পারে না। নদী ভরাটের কারনে পানির ধারন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় নগরীতে জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হচ্ছে। কর্নফুলী নদী ভরাট হওয়ার কারনে চট্টগ্রামের

ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা-বানিজ্যেও প্রভাব পড়েছে। নদীকে যথাযথভাবে ড্রেজিং করলে নাব্যতা ফিরে পাবে। বন্দর থেকে মালামাল নিয়ে আনা নেওয়ার সময় বারিক বিল্ডিং থেকে শুরু করে সিইপিজেট পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে। যে কারনে এসব এলাকার লোকজনের দুর্ভোগ হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে বন্দরের উন্নয়নে ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে তা সত্বেও কর্নফুলীর ড্রেজিং করা এখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে।

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সংগঠক মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন,’ বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক তৎপরতা অতীতের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের কারনে মানুষের আস্থা বেড়েছে। বন্দর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে শক্তিশালী করার পেছনে মুল শক্তি ছিলেন জননেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। আমাদের এই প্রয়াত নেতা তিলতিল করে কষ্টের বিনিময়ে সংগঠনকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করেছেন।

আরেক জন নেতা আমাদের সংগঠনকে বেগবান করতে সহায়তা করেছেন তিনি নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জননেতা খোরশেদ আলম সুজন। প্রয়াত নেতা আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে অসহযোগ ও ওয়ান ইলেভেন সহ বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলন সংগ্রামে তিনি মাঠ পর্যায়ে নেতৃত্বদানকারী একজন সাহসী ও ত্যাগী নেতা। তাদের নেতৃত্বে ৯৬ সালে বন্দরকে নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হওয়ায় বিএনপি-জামাত জোটের পতন ত্বরান্বিত হয়েছিল।

বিশিষ্ট সংগঠক ও শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন,’বর্তমানে এমপি মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে আমাদের নেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিবেন আমরা তার পক্ষেই কাজ করব। তবে বন্দর-পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম-১১ আসন। সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে এই আসনে। একজন কর্মী হিসেবে বলবো,’ এই আসনে যেন তৃনমুলের নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। বর্তমান এমপির সঙ্গে তৃণমুল নেতাকর্মীদের তেমন কোন সম্পর্ক নেই।

জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নৌকা যখন যাকে দেওয়া হয়েছে তার পক্ষে অতীতেও কাজ করেছি। আগামীতেও নিরলস ভাবে কাজ করব ইনশাআল্লাহ। জননেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ইমেজে ও জনগনের ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। এমপিদের উপর মানুষের যে আশা-আকাঙ্খা ছিল গত দশ বছরে চট্টগ্রাম-১১ আসনের মানুষ তার কিছুই পাননি।

তিনি উন্নয়ন করতে এবং সরকারের উন্নয়নের প্রচার প্রচারনায় নেই। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত আছেন। নিজস্ব একটি বলয় সৃষ্টির জন্য তৃনমুল আওয়ামী লীগকে অন্ধকারে রাখার চেষ্টা চালিয়েছেন। মহিলা আওয়ামী লীগের শক্তিশালী অবস্থানকে ধ্বংস করার জন্য একটি নারী সংগঠন জন্ম দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ঢুকে পড়েছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী পরিবারের লোকজন।

নি:সন্দেহে তাঁর এসব কর্মকান্ড দলের জন্য ক্ষতিকর। বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন,’ চট্টগ্রাম-১১ আসনে আগামী নির্বাচনে তৃনমুলের দাবী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা খোরশেদ আলম সুজনকে যেন মনোনয়ন দেওয়া হয়।

তিনি মনোনয়ন পেলে ইনশাআল্লাহ বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এই চাহিদা ও দাবী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা জানাতে চাই। কারন খোরশেদ আলম সুজন সর্বজন স্বীকৃত একজন ত্যাগী, বঞ্চিত ও পরীক্ষিত নেতা, যার শরীরের শিরা উপশিরায় আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। তিনি মনোনয়ন প্রাপ্ত হলে উজ্জীবিত হবে দল, জেগে উঠবে নেতাকর্মীরা। মানুষ পাবে সত্যিকার একজন জনপ্রতিনিধি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.