পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টাইগাররা ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবাল দ্বিতীয় ম্যাচেও সেঞ্চুরি করে দলকে ঐতিহাসিক জয়ে অবদান রেখেছেন। তামিম-মুশফিকের জুটি ১১৮রান করলে টাইগারদের জয়ের পথ সহজ হয়ে যায়। ২৪০ রানের জয়ের জন্য লক্ষ্যে ৭১ বল হাতে রেখে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। মুশফিক ৬৫ রান করে আউট হয়ে গেলেও ১১৬ বলে ১৭টি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত ১১৬ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তামিম।
রোববার দুপুরে দিবারাত্রীর ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের অধিনায়ক আজহার আলী টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন সাদ নাসিম ৭৬। এছাড়া, ওয়াহাব রিয়াজ ৫১, হারিস সোয়াহেল ৪৪, আজহার আলী ৩৬ রান করেন। একসময় একশ রানের আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। তবে হারিস এবং নাসিম ৭৭ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন। শেষ দিকে ওয়াহাব রিয়াজকে সাথে নিয়ে ৮৫ রানের জুটি গড়েন নাসিম। তাতে ২৩৯ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব ২টি, মাশরাফি, সানি, নাসির এবং রুবেল ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে ৭৯ রানে জিতে ১-০ তে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। আজ জিতলেই সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে টাইগারদের।
জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ডের পর এবার ‘শিকার’-এর তালিকায় যোগ হল পাকিস্তানের নাম, রচিত হল বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরেকটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ৫০ ওভারে ২৩৯/৬ (আজহার ৩৬, সরফরাজ ৭, হাফিজ ০, হারিস ৪৪, ফাওয়াদ ০, রিজওয়ান ১৩, সাদ ৭৭*, ওয়াহাব ৫১*; সাকিব ২/৫১, নাসির ১/১৭, রুবেল ১/২৭, সানি ১/৪১, মাশরাফি ১/৫২)
বাংলাদেশ : ৩৮.১ ওভারে ২৪০/৩ (তামিম ১১৭*, সৌম্য ১৭, মাহমুদউল্লাহ ১৭, মুশফিক ৬৫, সাকিব ৭*; আজমল ১/৪৯, জুনায়েদ ১/৬১)
ফল : বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী