বান্দরবানে হত্যা আতঙ্ক

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নে ক্য চিং থোয়াই মারমার হত্যার কথা স্বীকার করে পোস্ট দিয়েছে মগ লিবারেশন পার্টি। তাদের পরিচালিত ওয়েবসাইটে তারা নিহতের নাম উল্লেখ না করলেও হত্যার কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে, আরো সাতজনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

যদিও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এ হত্যার জন্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে।

প্রসঙ্গত, মগ লিবারেশন পার্টি এলাকায় আরাকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি) নামেও পরিচিত।

শনিবার রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের ৮ নং রাবার বাগান এলাকার পুর্নবাস মারমা পাড়ায় সন্ত্রাসীরা হানা দিয়ে মুদি ব্যবসায়ী ক্য চিং থোয়াই মারমাকে অপহরণের পর গুলি ও ছুরিকাঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

ক্য চিং থোয়াই স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন বলে দলীয় নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন।

সন্ত্রাসীরা ক্য চিং থোয়াইয়ের বড় ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চাইসা অং মারমাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই ক্যচিংকে অপহরণের পর হত্যা করে। এ হত্যার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করলেও জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার সভাপতি উছোমং মারমা ও সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি উছোসিং মারমা জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জনসংহতি সমিতির ঘাড়ে দায় চাপানো হচ্ছে। অথচ এর আগে আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থককে হত্যা ও অপহরণ করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার দিন বিকেলে নিহত ক্য চিং থোয়াই মারমার বড় ভাই চাইসা অং মারমা বাদি হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ক্য চিং থোয়াইয়ের নিহতের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পাশাপাশি স্থানীয় পাড়ার লোকজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আতঙ্কে রাবার বাগান এলাকার বেশ কয়েকটি পাড়া পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

এদিকে, ৮ নং রাবার বাগানের পুর্নবান মারমা পাড়ার পাড়া প্রধানসহ ৭ জনকে সন্ত্রাসীরা হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনার পর পাড়া প্রধান লাসা পু মারমাসহ অন্যরা পলাতক রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার রাতে সন্ত্রাসীরা ক্যনাইজু পাড়া ও মংজয় পাড়ায় হানা দিয়ে জনসংহতি সমিতির দুই নেতাকর্মীকে অপহরণের চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে রক্ষা পায়। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী রাঙ্গামাটির জেলার রাজস্থালি থেকে সন্ত্রাসীরা ৩ জনকে অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানিয়েছেন, নিরাপত্তার জন্য রাজবিলা এলাকায় একটি অস্থায়ী নিরাপত্তা ক্যাম্প বসানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.