বিএনপির নেতৃত্ব এখন খালেদা-তারেকের হাতে নেইঃ তথ্যমন্ত্রী

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্ব এখন খালেদা-তারেকের হাতে নেই, বিএনপি ভাড়া করা নেতৃত্বে চলছে। ইতোপূর্বেও ধার করা নেতা দিয়ে চলেছে বিএনপি। ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে প্রকৃতপক্ষে বিএনপি জোটের নেতৃত্ব ড. কামাল হোসেন সাহেবদের হাতে তুলে দিয়েছিল। সেটি এখনও বহাল আছে। বিএনপি এখন নতুন করে আবার নেতৃত্ব ভাড়া করবে কি না সেটি বিএনপিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আজ সোমবার (২০ মে) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, রূপপুরের অনিয়মের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে, তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ইতোপূর্বেও নেতা ভাড়া করেছে। কারণ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যে ঐক্যফ্রন্ট সেই ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে বিএনপি আছে। প্রকৃতপক্ষে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতে এখন বিএনপির নেতৃত্ব নেই। তারেক রহমান যাবজ্জীবন শাস্তিপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। দেশের বাইরে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেয়া সহজ নয়। সেই কারণে বিএনপির বহু সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত ছিল না।

তিনি বলেন, বিএনপির নানাবিধ ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিএনপির আজকের এই দৈন্যদশা তাদের ক্রমাগত ভুল সিদ্ধান্তের কারণে। তারা প্রথমত গত নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতায় ছিল। তারা নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর যেভাবে তৎপর থাকার কথা ছিল, তাদের কোনো প্রার্থীর তেমন তৎপরতা ছিল না। এ ছাড়া মনোনয়ন বাণিজ্য তো আছেই। তবে মনোনয়ন বাণিজ্য এখানে নয়, লন্ডনে হয়েছে। এখানে যেগুলো হয়েছে সেগুলোও লন্ডন পর্যন্ত গেছে, যোগ করেন হাছান মাহমুদ।

খালেদার মুখে ‘ঘা’ হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতারা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ কামড় লেগে জিহ্বায় ঘা হয়ে স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন না। আমি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন, খালেদার জিহ্বায় ঘা হয়েছে। সে কারণে তিনি স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছিলেন না, তবে এখন অনেকটা ভালো হয়ে গেছে। দুই একদিনের মধ্যে তিনি পরিপূর্ণভাবে ভালো হয়ে যাবেন, তিনি স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করতে পারবেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা আদালত কর্তৃক শাস্তিপ্রাপ্ত। বছরের পর বছর ধরে তার আইজীবীরা আদালতকে বার বার তারিখ পরিবর্তন করে হ্যারেজ করেছে। মামলার ক্ষেত্রে এতো সময় নেয়ার ঘটনা ইতোপূর্বে ঘটেনি। স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ায় তার বিচার হয়েছে। বিচারের মাধ্যমে তার শাস্তি হয়েছে। আইনকে প্রভাবিত করার সুযোগ নেই। এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.