মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় দিদারকে জীবন দিতে হয়েছে

0

দিলীপ তালুকদারঃ চট্টগ্রামে ছাত্র রাজনীতির একজন ত্যাগী নেতা দিদারুল আলম মাসুম। মামলা, হামলা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর কারাগারে ছিলেন বিএনপি-জামাতের শাসনামলে। আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন সক্রিয়। আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে রাজনীতির মাঠে কর্মীদের সংঘটিত করে আন্দোলন-সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা ছিল দিদারুল আলম মাসুমের। তিনি বর্তমানে লালখাঁন বাজার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

গত সপ্তাহে একান্ত এক সক্ষাৎকারে বলেন, লালখাঁন বাজার এলাকায় সচ্চ রাজনীতি ও মাদক বিরোধী একজন প্রতিবাদী চরিত্রের আইকন ছিলেন দিদারুল ইসলাম আবীর। জিপিএ-৫ পাওয়া একজন মেধাবী ছাত্র দিদার শুবক্তা হিসেবে মাননীয় মেয়র মহোদয়ের কাছ থেকে পুরুস্কারও পেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন যাবত লালখাঁন বাজার এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন দিদার। যারা মাদক বিক্রি করত তাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিল। দিদার মতিঝর্নায় সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে একটি বলয় তৈরী করেছিল। জঙ্গীমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ছিল অবিচল। একারনে সংঘবদ্ধ হয়ে মাদক বিক্রেতা ও ক্রেতা তাকে হত্যা করে। যারা মাদকের পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের নির্দেশেই নানা অপকর্ম ও অঘটন চলছে। বিগতদিনে লালখাঁন বাজারে এরাই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এসব হত্যাকারীরা গত মেয়র নির্বাচন পরবর্তী সময়ে খোকন সরকারকে হত্যা করে। দু’দিন পর পুলিশের সহায়তায় তার লাশ আমরা উদ্ধার করি। ঐ হত্যাকারীরা যারা জড়িত ছিল তাদের কেউ কেউ দিদার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত।

দিদারুল আলম মাসুম বলেন, মহানগর আওয়ামলীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দিনের সার্বিক সহযোগীতায় এবং আমাদের সভাপতি আলহাজ্ব সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সংগঠনকে সুশৃংখলভাবে পরিচালনা করছি। আমরা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সংঘটিত করে জাতীয় সকল অনুষ্ঠান ও দলীয় কর্মসুচী বাস্তবায়ন করছি। তিনি বলেন, এখানে আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ বা গ্রুপিং নেই। পত্র পত্রিাকায় গ্রুপিং উল্লেখ করে প্রায় সংবাদ আসে। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। তবে যদি দলের মধ্যে থেকে উপ-গ্রুপ তৈরী করার চেষ্টা করে সেটাকে আমরা প্রাধান্য দেইনা। আমরা সব সময় প্রগতিশীল রাজনীতি করে আসছি। স্বেচ্ছাসেবক লীগের জনৈক নেতা নিজেকে সে দলের নেতা দাবী করলেও মহানগরে তার কোন পাদ-পদবী নেই। দিদার হত্যাকান্ডের পর এলাকায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দেওয়াতে সে বাঁচার জন্য এলাকা ছেড়েছে এবং বিভিন্নভাবে তদবির করছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, সে আমাদের দলের কেউ না।

বিশিষ্ট সংগঠক ও রাজনীতিবিদ দিদারুল আলম মাসুম বলেন, সরকারের উন্নয়ন চিত্র লিফলেট আকারে প্রিন্ট করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে সরকারের সফলতা আমরা জনগনকে অবহিত করছি। প্রায় ২০ হাজার লিফলেট ইতিমধ্যে এলাকায় আমরা বিতরণ করেছি। সরকারের উন্নয়ন সর্বমহলে প্রশংসীত হয়েছে। আমরা মানুষের সমর্থন ও সহযোগীতা পাচ্ছি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা দলীয় কর্মকান্ডকে চাঙ্গা করে সরকারের সফলতা জনগনের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আমদের এই চিন্তা-চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের অভিনাশী চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আমাদের ঐক্য প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করতে কুচক্রীমহল চক্রান্ত করছে। সরকারী সিটি কলেজের রাজনীতির ছাত্র আন্দোলন এক সময়ে চট্টগ্রামে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে।
সাংবাদিকরা জানেন না, সিটি কলেজের সন্নিকটে শাহাজাহান হোটেলের পেছনে একটি মাদকের আখড়া রয়েছে। এই মাদকের আখড়া থেকে নগরীতে কিলিং মিশনের পরিকল্পনা করা হয়। লাল খাঁন বাজারে পর পর ২টি হত্যাকান্ড এই আস্তানা থেকে পরিকল্পনায় সংঘটিত হয়েছে। খোকন সরকার ও দিদারকে হত্যা করা হয়। এই হত্যার বিচার কিভাবে পাব আমরা জানিনা। তার পরিবার ও স্বজনদের অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে। দিদারের আদর্শকে যদি আমরা ধরে রাখতে পারি তাহলে আমরা তার স্মৃতিকে ধরে রাখতে পারব। এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই। ঘাতকদের আইনের আওতায় আনার জন্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে অনুরোধ জানাব।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.