রাউজানে সাংবাদিক প্রদীপের মহানুভবতা 

0

নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজানঃ কুড়িয়ে পাওয়া পাঁচ লাখ টাকা প্রবাসী যুকবের হাতে তুলে দিয়ে মহানুভবতার একটি দৃষ্টান্ত দেখালেন রাউজান সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি, দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার রাউজান প্রতিনিধি সাংবাদিক প্রদীপ শীল।

২০ মার্চ তিনি টাকাগুলোর আসল মালিক চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মীরের খীল গ্রামের মৃত সমশুদ্দিন ইসমাইল পু্ত্র মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের হাতে তুলে দেন। এর পূর্বে টাকা ও মূল্যবান দলিল কুড়িয়ে পাওয়ার পর নিজের ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন সাংবাদিক প্রদীপ শীল।

গত ১৮ মার্চ রাতে এক স্টাটাসে তিনি লিখেন, চট্টগ্রাম শহর থেকে আসার পথে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কে কিছু টাকা পাওয়া গেছে। সাথে কিছু কাগজপত্র রয়েছে। উপযুক্ত প্রমান স্বাপেক্ষ প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিতে চাই। ফেইসবুকে স্টাটাসটি পাবার পর টাকার আসল মালিক প্রবাসী যুবক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রদীপ শীলের সাথে যোগাযোগ করলে সত্যতা নিশ্চিত হবার পর তার হাতে টাকা, মূল্যবান দলিল তুলে দেন প্রদীপ শীল।

টাকাগুলো আসল মালিকের হাতে ফিরিয়ে দেবার পর প্রদীপ শীল ফেইববুকে দেওয়া আরেকটি স্ট্যাটাসে সাংবাদিক প্রদীপ শীল লিখেন, আজ ২০ মার্চ ভারমুক্ত হলাম। চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের নন্দীরহাট এলাকায় কুড়িয়ে পাওয়া পাঁচ লাখ টাকা প্রবাসী যুকবের হাতে তুলে দিতে পারলাম। সাথে কিছু কাগজপত্র ছিল। সেটাও বুঝিয়ে দিলাম।

প্রবাসী যুবকের নাম মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তার বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার মীরের খীল গ্রামের মৃত সমশুদ্দিন ইসমাইল পু্ত্র। তিনি জানান ডাচ্ বাংলা ব্যাংক মুরাদপুর শাখা থেকে টাকা গুলো উত্তোলন করে অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিল। এসময় টাকা গুলো ও জায়গার খতিয়ান অজানা স্থানে পড়ে যায়।

তিনি আরো জানান ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছিল একটি সেমি পাকা বাড়ি করার জন্য। আমামী এপ্রিল মাসের তার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। ঘরের কাজ শেষ করে নতুন বউকে ঘরে উঠাবে বলে সিন্ধান্ত নেয়। সেই জানায় ওমানের সীব এলাকায় একটি কাপড়ের দোকানে চাকরী করে সেই। গত চার বছর আগে ওমানে গিয়েছিল।

প্রথম বারেরর মতো দেশে আসে গত ৯ মার্চ। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তির উপস্থিতিতে টাকা গুলো তুলে দিতে পেরে নিজেকে হালকা লাগছে। সুন্দর মতামত দিয়ে আমাকে সহযোগি করেছে আমার অগনিত ফেইজবুক বন্ধু। তাদেকে জানায় আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সাংবাদিক প্রদীপ শীলের এই সততায় মুগ্ধ তার বন্ধু মহল থেকে শুরু করে অগণিত সহকর্মী।

সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে রীতিমতো প্রশংসাসিক্ত করেই চলেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাংবাদিক প্রদীপ শীল এ প্রতিবেদককে বলেন, টাকাগুলো কুড়িয়ে পাওয়ার পর থেকে বিবেকের তাড়না থেকেই আমার একটা চাওয়া ছিল কিভাবে এগুলো আসল মালিকের হাতে তুলে দেওয়া যায়। পরে ভাবলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টাটাস দিলে এই সংবাদটি সবাই জানতে।

আজ আমি নিশ্চিন্ত হলাম।সমাজে অনেককেই দেখি সামান্য কিছু টাকার কাছে নিজের ব্যক্তিত্বকে বিলিয়ে দিতে এতটুকু কার্পণ্য করেনা। আমি মনে করি যার যার অবস্থান থেকে সততাকে ধারণ করতে পারলে এই সমাজটা সত্যিকার অর্থেই আরো সুন্দর হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.