শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  ঢাকা রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও তার পরপরই প্রধানমন্ত্রী সেখানে শ্রদ্ধা জানান। এসময় প্রায় এক মিনিট নিরবে দাঁড়িয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন তারা। এসময় তোপধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে, বেজে ওঠে বিউগলের করুণ সুর।

এর পরপরই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। এসময় শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান। এরপর একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাতিকে মেধাশূন্য করতে ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন— অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরো অনেকে।

অনেকেই মনে করেন, একাত্তরে ত্রিশ লাখ শহীদের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তারা শহীদ হন এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে। হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে। তারা স্পষ্ট দেখে— চরম বিপর্যয় আসন্ন, পরাজয় একেবারেই সন্নিকটে। তখনই তারা সেই পরিকল্পনা কার্যকর করে। তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে নিয়ে হত্যা করে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.