শহীদ রাউফুন বসুনিয়া’র শাহাদাৎ বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন
কারেন্ট টাইমসঃ স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র শহীদ রাউফুন বসুনিয়া’র ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মহসিন হল সংলগ্ন বসুনিয়া তোরণ এ রাউফুন বসুনিয়া’র আবক্ষ প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংলগ্ন মাঠে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় ঢাকায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শহীদ রাউফুন বসুনিয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি এডভোকেট রেজাউল করিম হীরনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লায়ন হামিদুল আলম সখার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুজ্জামান।
আশির দশকের সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা বাহালুল মজনুন চুন্নু, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মুকুল বোস, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, রাকস’ুর সাবেক জি.এস ও যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির রানা, ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলমসহ আশির দশকের সাবেক ছাত্রনেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, বসুনিয়া ছিলেন গণতন্ত্রকামী এবং দেশপ্রেমিক একজন নিবেদিতপ্রাণ যুবক। চিন্তা ও কাজের মধ্য দিয়ে তিনি গণতন্ত্রকে ভালবেসেছেন, দেশকে ভালবেসেছেন। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছেন তিনি। যে প্রাণশক্তি নিয়ে সেদিন বসুনিয়াসহ আরো অনেক ছাত্রনেতৃবৃন্দ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন উৎসর্গ করেছিল আজকে সে একই প্রেরণা নিয়ে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করে উন্নততর এবং সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ বিরোধী সকল শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিনি ছাত্র সমাজের প্রতি আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, তৎকালীন অবস্থায় আমরা সামরিক স্বৈরাচারের যিনি প্রতিভূ ছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি। আমাদের সংগ্রাম সফল হয়েছে। রাউফুন বসুনিয়ার রক্ত বৃথা যায়নাই। দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যুগে যুগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পথ দেখিয়েছে। আজও আমরা বলছি বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদ নির্মূল করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার জন্য ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করতে হবে ছাত্র সমাজকেই। যাতে করে আমাদের কষ্টার্জিত রক্তর্জিত গণতন্ত্র, আমাদের জাতীয় উন্নয়ন কোনটাই যেন দুশমনরা পেছনের দরজা দিয়ে এসে গ্রাস করতে না পারে।