শীতে বাগেরহাটে ৩শ কোটি টাকার সবজি উৎপাদনের টার্গেট

0

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট: বাগেরহাট জেলার ৯ উপজেলায় ৩শ কোটি টাকার সবজি আবাদের টার্গেট করা হয়েছে। এ লক্ষ্য পূরণে ২ লাখ ৬২ হাজার কৃষক মাঠে বীজ বুনেছেন। এর মধ্যে চিংড়ি খামারের পাশে টমেটো, মূলা ও লাল শাক এবং অন্য ভূমিতে পালং ও পুঁই শাক, বেগুন, সীম, ওলকপি, বাঁধাকপি আর ফুলকপির চাষ হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সূত্র জানান, জেলার প্রায় ২৩৬৫৬২ জন কৃষকবাগেরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরউপ-পরিচালক মোঃ আফতাব উদ্দিন জানান,এবার কৃষক আগেভাগেই সবজি উৎপাদন শুরু করেছে। জেলায় ৬ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি রোপণ হয়েছে। এর মধ্যে ৭২৫ হেক্টর বেগুন ও ৭৬৬ হেক্টর টমেটো। গত বছর জেলায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন বেগুন, ১৭ হাজার মেট্রিক টন টমেটো ও ৯ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়।

বাগেরহাটের ৯ উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যমতে, শীতকালীন মৌসুমে ৫শ কোটি টাকার সবজি উৎপাদন হবে। সে লক্ষ্যে কৃষকরা চাষাবাদ করছেন।

সূত্র মতে, এবার কাক্সিক্ষত বৃষ্টি হয়নি। আশ্বিন মাস থেকে ভূমি সতেজ রয়েছে। কাদামাটি না থাকায় শীতের সবজি উৎপাদনে উপযোগী ছিলো চিংড়ি খামারের আইলে। কৃষক আশ্বিন মাস থেকেই লাল শাক ও মূলা উৎপাদন শুরু করে। কার্তিকের প্রথম দিক থেকেই বেগুনসহ অন্যান্য সবজির উৎপাদন শুরু হয়েছে।

ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোতাহার হোসেন জানান, চিংড়ি খামারের আইলে টমেটো আর লাল শাক উৎপাদন শুরু হয়েছে আগেভাগেই। অন্য জমিতে বেগুন, সীম ও নানা ধরনের কপির চারা রোপণ হয়েছে। উপজেলার দামোদর ও জামিরা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। ভালো ফলন আশা করা হচ্ছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপম রায় বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষক বান্ধব সরকার। তথ্য ও প্রযুক্তির বদৌলতে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। কৃষকরা ঘরে ও মাঠে বসেই কৃষি সম্পর্কিত সকল তথ্যই সংগ্রহ করতে সক্ষম। যার কারনে কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হয়েছে কৃষকরা।, মোরেলগঞ্জ থেকে উৎপাদিত সীম বাজারে আসতে শুরু করেছে। উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে সীম, ২৩০ হেক্টর জমিতে লাল শাক, ৩৪০ হেক্টর জমিতে টমেটো, ৩৩০ হেক্টর জমিতে বেগুন, ২৮০ হেক্টর জমিতে ওল কপি, ২৮৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও ১৬০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপির আবাদ হয়েছে। ৭ ইউনিয়নের সব গ্রামের কৃষক শীতের সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত।

মোরেলগঞ্জ সদরের কৃষক শেখআব্দুল মজিদ জানান, ৬৩ শতক জমিতে লাল শাক, মূলা, টমেটো, ওলকপি, সীম ও পুঁই শাকের আবাদ করেছি। কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময় টমেটো ও লাল শাক বিক্রি শুরু হবে। গত বছর শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করে। তার প্রতিবেশী , মুজাহিদুল ইসলাম, সোবহান আলী, হায়দার শেখ ও মাহবুবুববাড়তি মুনাফার আশায় আগেভাগেই শীতের সবজি উৎপাদন করেছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.