সংসদে এটাই আমার শেষ বক্তৃতা- অর্থমন্ত্রী

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  একাদশ সংসদ নির্বাচনে আর ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না বলে আবারো জানালেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, আজকেই আমার শেষ সুযোগ। আমি আর নির্বাচনও করছি না। তাই এটিই নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমার শেষ বক্তৃতা। আমি আসলেই যাচ্ছি এটা ঠিক, তবে আমি চলে যাচ্ছি না। আমি থাকব, আমি থাকব। সংশ্লিষ্টতা থাকবে, কিন্তু গুরু দায়িত্ব যেটা পালন করতে হয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে সেটা পালন করতে পারছি না।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় আনিত প্রস্তাব সাধারণের উপর আলোচনায় তিনি একথা বলেন। প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আমার জীবনে যা করতে সক্ষম হয়েছি, তার প্রধান কারণ হলো মানুষের দোয়া। মানুষের দোয়াই আমাকে উৎসাহিত করেছে। আমি অবসরে যাচ্ছি, এটা ঠিক তবে চলে যাচ্ছি না। সংশ্লিষ্ট থাকবো। তবে অর্থমন্ত্রীর যে গুরু দায়িত্ব, তা আর পালন করছি না।’

দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে আনীত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে শেখ হাসিনার মানের তিন থেকে চারজন প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। তার সব ধ্যান-ধারণা জনকল্যাণে নিয়োজিত। এ রকম একজন নেতার অধীনে কাজ করে তাকে সহযোগিতা করাটা আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুধু আমাদের নেতা নন, তিনি বিশ্বের ৩-৪ জন নেতার একজন। তার সমস্ত ধ্যাণ-ধারণা কর্মকাণ্ড সবই হচ্ছে জনকল্যাণে নিবেদিত। তার অধিনে কাজ করা, তার কাজে সহায়তা আমার জন্য অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য সৌভাগ্য।’

দশ বছরে সরকার অনেক উন্নয়ন করলেও এখনো তিন কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে আছে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো তিন কোটি মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে আছে। তাদের সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের সুযোগ করে দেওয়া আমাদের কর্তব্য, রাষ্ট্রের প্রধান কর্তব্য। আমরা এ ব্যাপারে নিবেদিত, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একান্তই নিবেদিত। আপনারা যারা আবার আসবেন এটা মনে রাখবেন।’

উপস্থিত সকল সংসদ সদস্যের কাছে দোয়া চেয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আমার জীবনের যা করতে সক্ষম হয়েছি তার প্রধান কারণ মানুষের দোয়া, মানুষের সমর্থন। আমি আসলেই যাচ্ছি এটা ঠিক, তবে আমি চলে যাচ্ছি না, আমি থাকব, সংশ্লিষ্টতা থাকবে, কিন্তু গুরু দায়িত্ব যেটা পালন করতে হয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে সেটা পালন করতে পারছি না।’

এসময় পাশে বসে থাকা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে বলতে শোনা যায়, দরকারটা কি? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দরকার নেই বলেই তো বলছি। আপনাদের বন্ধুত্ব, সহায়তা সেটা আমি আশা করছি।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.