তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে দলের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সরব হয়ে উঠেছেন। এজন্য দলের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রতিদিনই অলিখিত বৈঠকে বসছেন সিনিয়র মন্ত্রী ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। দলের মধ্যে কোন্দল মিটিয়ে প্রার্থীকে বিজয়ী করতে একসঙ্গে কাজ করতে তৃণমূল পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বৈঠকগুলো থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাত দিয়েই সিনিয়র নেতারা তৃণমূলে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও কয়েকজন সংসদ সদস্য দলের সমর্থন না পাওয়া প্রার্থীদের প্রকাশ্যেই হুমকি দিচ্ছেন। এসব নেতাদের দেয়া বক্তব্যকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য বলেও চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্র্র্র্র্থীদের প্রতি ১৪ দলের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত রাখছে দলটি। যদিও ১৪ দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি।
১৪ দলের একাধিক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন শীর্র্ষ নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে। তারা সকলেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন এককভাবে করার পক্ষে মত দিয়েছেন। এই নির্বাচন তারা জোটগতভাবে করতে চান না। নিজেদের দলীয় অবস্থান ও আদর্শের প্রচারের জন্য ইতিমধ্যে তারা প্রার্থীও ঘোষণা করেছেন। এক বামপন্থী নেতা জানান, তারা এককভাবে নির্বাচন করার জন্য প্রচেষ্টা চালাবেন। তিনি জানান, কর্মীরা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের জন্য মাঠে নাও নামতে পারে। অবশ্য জোটের শরীকদেরকে কিছু ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগও সমর্থন দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে। কিন্তু এ আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারছেন না শরীকরা। কারণ, প্রায় সব ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী। এরা একে অন্যকে ছাড়া দিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে জোটের প্রার্থীকে সমর্থন দিলেও আওয়ামী লীগের কর্মীরা সক্রিয়ভাবে কাজ করবে কিনা তা নিয়ে এখানো সন্দেহ কাটেনি।
গত ১ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে মহানগর শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন দলটির সিনিয়র মন্ত্রী ও দলের প্রভাবশালী নেতারা।
বৈঠকে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে করণীয় ঠিক করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে দুই সিটিতে পৃথক নির্বাচনী অফিস স্থাপন এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে একক প্রার্থী নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা চালানো।
একই দিন চট্টগ্রামেও নিজেদের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। সেই বৈঠকে নির্বাচনে মেয়র পদের ন্যায় কাউন্সিলর পদেও একক প্রার্র্থী করার পক্ষে মত দেয়া হয়। আলোচনা করা হয়, যেকোন মূল্যে বিজয়ী হওয়ার কৌশল নিয়ে। বৈঠকে দলীয় নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে, জয়ের বিকল্প যেন নেতাকর্র্র্র্র্র্র্র্র্মীরা না ভাবেন। আরো বলা হয়েছে, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের দলীয় কোন্দল যেন প্রকাশ না পায়। এসময় ঐক্যবদ্ধভাবে দল সমর্থিত মেয়র প্রার্র্র্র্থীকে জয়ী করতে নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।