সেই জনসভার মাইকিং এখনো করছিঃ তথ্যমন্ত্রী
সিটি নিউজ ডেস্কঃ আমি মাঠেই মানুষ। যখন কলেজে পড়ি, তখন আওয়ামী লীগের জনসভা হলে আমি সেই জনসভার মাইকিং করতাম। প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে দলের মাইকটি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সরকারের মাইকটি আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। আমার সেই ছোট বেলার মাইকিং এখনো করছি।
আজ বুধবার (২৩ জানুয়ারী) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ। মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়েছে। আমরা এখন এমন এক জায়গায় গিয়েছি যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন তারা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে।
কেউ স্বীকার করুক, আর নাই করুক দেশ কিন্তু বদলে গেছে। বিশ্বে হাতেগোনা কয়েকটি দেশ প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে ধরে রাখতে পেরেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ নিয়ে প্র্রশংসা করে মানুষ। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীরা বাংলাদেশকে নিয়ে প্রশংসা করেন।
সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ছিল বিএনপির জন্য মহা বিপর্যয়ের দিন। তাদের উচিত দিনটিকে তাদের বিপর্যয়ের দিন হিসেবে পালন করা।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপির নির্বাচন প্রক্রিয়াই ছিল ত্রুটিযুক্ত। তারাতো নির্বাচনী প্রচারে নামেনি। ফখরুল সাহেব নির্বাচিত হয়েছেন সেটা ভাল। আমি তাকে স্বাগত জানাই। তবে তিনি মহাসচিব হিসেবে যথেষ্ট ব্যর্থ হয়েছেন।
দেশে নেতিবাচক রাজনীতি যদি না থাকতো রাষ্ট্র আরও অনেক দূর এগিয়ে যেত। গেল দশ বছর বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি করেছে।
বিএনপি কোনো কাজে প্রশংসা করে না। সব কাজে সমালোচনা করে। এটা দেশকে পিছিয়ে দেয়। দেশে সাংঘর্ষিক রাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজন।
আজ হরতাল যে অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেছে তা গণমাধ্যমের কারণে সম্ভব হয়েছে। সাংঘর্ষিক রাজনীতি বন্ধে আপনাদের ভূমিকা আছে। আমি আমার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সাংবাদিক ভাই বোনদের পরামর্শ নিয়ে তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।