মিরসরাইয়ে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

0

মিরসরাই প্রতিনিধি:: মিরসরাইয়ে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩ জন। উপজেলার ভিন্নভিন্ন স্থানে ঘটা দুর্ঘটনাগুলোর হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে মহিলা পথচারী নিহত, মহাসড়কের বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতালের সামনে থেকে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার এবং মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিক নিহত হয়।

মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় এক মহিলা পথচারি ঘটনাস্থলে নিহত হয়। সকাল ৮ টার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই মহিলার নাম সাজেদা বেগম (৪০)। সে উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার আকতার হোসেনের স্ত্রী।

মঙ্গলবার সকালে নিজামপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দিয়ে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি কাভার্ড ভ্যান তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসেম দুর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত মহিলার (আনুমানিক ৪২) লাশ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার ভোরে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। জোরারগঞ্জ চৌধুরীহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতালের সামনে মহাসড়কের পাশে একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সেখান থেকে তার ছিন্নভিন্ন লাশ থানায় নিয়ে আসি। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি। এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে নিহত ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অপরদিকে মিরসরাই ইকোনোমিক জোনে পাইলিংয়ের কাজ করার সময় লোহার পাইপের আঘাতে আকরাম উদ্দিন (১৯) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকরাম ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার অনন্তপুর গ্রামের হাকিম উদ্দিনের পুত্র। সে চট্টলা বোরিং কর্পোরেশনের অধীনে মিরসরাই ইকোনোমিক জোনে কাজ করতো।

এই বিষয়ে চট্টলা বোরিং কর্পোরেশনের সুপারভাইজার রবিউল আউয়াল বলেন, আকরাম তাদের কোম্পানীতে গত ১ বৎসর ধরে কাজ করছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ইকোনোমিক জোনে পাইলিংয়ের কাজ করার সময় দুর্ঘটনাবশত আকরামের গায়ে একটি লোহার পাইপের আঘাত লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আমরা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মিরসরাই সদরে মাতৃকা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে। এখন আমরা আকরামের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.