কেএসআরএম’র গেইট ভেঙ্গে দিয়েছে এলাকাবাসী

0

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি,সিটি নিউজ :: সীতাকুন্ডে কেএসআরএম কর্তৃক সরকারী রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় বাড়বকুন্ডের নতুনপাড়া, চৌধুরী পাড়া, ভোলাইপাড়া গ্রামের প্রায় কয়েকশত লোকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সীতাকুন্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান গেলে কেএসআরএম কর্তৃক সরকারি রাস্তার উপর অবৈধভাবে নির্মিত গেইটে বাঁধার সম্মুখীন হন। দীর্ঘ দেড় ঘন্টা পর স্থানীয় জনতা মিল কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে লোহার গেইট ভেঙ্গে চলাচলের পথ উম্মুক্ত করে দিয়ে প্রশাসনকে পরিদর্শনের সুযোগ করে দেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) দুপুর আড়াইটায় বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের কেএসআরএম (সাবেক আনোয়ারা জুট মিলস গেইটে) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুন্ড উপজেলার বাড়বকুন্ডস্থ সাবেক আনোয়ার জুট মিলস গেইটের পাশ দিয়ে কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা রাজা আম্বিয়া ঢালা সরকারী রাস্তা দিয়ে পাহাড়ে যেত। স্থানীয় প্রায় হাজারো মানুষ তাদের জীবিকা অন্বেষনে নিকটস্থ পাহাড়ের ভূমিতে তরিতরকারি-শাকসবজি জুম চাষ কৃষি ও ফলজ বাগানের চাষাবাদ করে আসছে।

অতিসম্প্রতি আনোয়ারা জুট মিলসটি কেএসআরএম (স্টীল মিল) ক্রয় করে জনসাধরনের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। ফলে এলাকার কয়েক হাজার মানুষের জীবন জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে যায়।

রাস্তাটি গেইট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে ও খুলে দেওয়ার দাবীতে গ্রামের বাসিন্দারা এবং জঙ্গল কাঠগড় রাজা আম্বিয়া ঢালা পাহাড়ী বাগান ও কৃষি উৎপাদন ফলজ বাগান মালিক সমিতি পক্ষ থেকে পৃথক দুইবার উক্ত মেইল গেইটে মানব বন্ধন, মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়।

ইতিপূর্বে উক্ত সমিতি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ, সীতাকু- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সীতাকু- সহাকারী কমিশনার (ভূমি), অতি: পুলিশ সুপার সীতাকু- সার্কেল, সীতাকু- মডেল থানা, সীতাকু- থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন। এই স্মারকলিপির প্রেক্ষিতে ইউএনও, এসি ল্যান্ড, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশ সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে মিল কর্তৃপক্ষের বাঁধার মুখে পড়েন।

প্রায় দেড় ঘন্টা মিল গেইটে অপেক্ষায় থাকার পর স্থানীয় জনতা অবৈধভাবে নির্মিত গেইট ভেঙ্গে দিয়ে প্রশাসনকে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করেন। পরিদর্শনকালে কর্মকর্তারা বেশ কয়েকটি পাহাড় কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ কেটে সমতল করার দৃশ্য দেখতে পান।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম জানান, আমরা এলাকাবাসীর আবেদনে সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গেলে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে প্রবেশ করতে দেয়নি। এসময় কর্ত্যবরত আনসারও সহযোগিতা করেনি।

উপস্থিত এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে সরকারি রাস্তার উপর নির্মিত লোহার গেইটি ভেঙ্গে দিলে আমরা পাহাড় এলাকা পরিদর্শন করি। এসময় বেশ কয়েকটি পাহাড় কর্তনের দৃশ্য দেখতে পাই।

এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুজ্জামান বলেন, তাঁরা আমাদেরকে প্রবেশ করতে না দিয়ে চরম বেয়াদবি করেছে। জনতার সহযোগিতায় আমরা গেইটি উম্মুক্ত করতে পেরেছি। পাহাড়া কাটার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.