জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেইঃ মোসলেম উদ্দিন

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ  চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বর্তমান সরকারের আমলে প্রচুর উন্নয়ন কার্যক্রম হয়েছে। নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে আমাদের পার্শ্ববর্তী পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান উপজেলায় যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে সেভাবে বোয়ালখালীতে হয়নি।

এ কথাগুলো বলেছেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সংগঠক আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন আহমদ। বোয়ালখালীতে ব্যাপকভাবে যে উন্নয়ন হয়েছে তার বেশিরভাগ বা সিংহভাগই কাজ এমপি বা মন্ত্রী না হয়েও সম্পন্ন করেছেন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেম উদ্দিন আহমদ।

বিগত দিনে সরকারের দুই মেয়াদে স্থানীয় এমপি না থাকায় কাঙ্খিত কোন উনয়ন হয়নি। যার কারনে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বোয়ালখালী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোসলেম উদ্দিন আহমদ। দীর্ঘদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রামের সব উপজেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন।

ছাত্রজীবন থেকে রাজপথের লডাকু সৈনিক, অকুতোভয় সাবেক ছাত্রনেতা, দক্ষ সংগঠক হিসেবে চট্টগ্রামের রাজনীতির মানচিত্রে অত্যন্ত সুপরিচিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন। দলের প্রতি রয়েছে যার দীর্ঘদিনের ত্যাগ।

গত সপ্তাহে সিটি নিউজ বিডিকে দেয়া একান্ত এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ’দেশ উন্নয়ণ ও অগ্রগতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বহি:বিশ্বেও সুনাম অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যানের জন্য। সরকারের গ্রৃহিত উন্নয়ন চিত্র মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আমার এলাকায় কাজ করছি।

আপনিও আমার ছাত্রজীবন থেকে দেখেছেন,’ আমি কখনো রাজপথ ছাড়িনি। হামলা, মামলা ও কারাবরন ভাগ্যে জুটেছে। নির্যাতন, জুলুম, অত্যাচারেও আমাকে আদর্শ থেকে কেউ সরাতে পারেনি। কখনো কোন অন্যায়ের কাছে আপোষ করিনি। বোয়ালখালীর মাটি ও মানুষের স্বার্থে আমার রাজনীতি শতভাগ সচ্ছ।

ক্যাডার বা লোহা লঙ্কর পার্টি নিয়ে কখনো রাজনীতি করিনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঁধা, বিপত্তি, ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এখনো চক্রান্ত ও অপশক্তির তৎপরতা দেশে বিদ্যমান। মোসলেম উদ্দিন আহমদ বলেন,’ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে দেশের এই বিশাল অর্জন ও প্রাপ্তীর জন্য কোন যাদু ছিল না। সবকিছু সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেম ও দায়বদ্ধতার কারনে।

সব প্রতিকুল পরিস্থিতিকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির রায় কার্যকর করতে যখন উদ্যোগী হন, এখন সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত নজিরবিহীন নাশকতা চালায়।

পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পুডিয়ে মেরেছে তারা নৃশংসভাবে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়া এবং সরকারের জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানকে ভেস্তে দেয়া। কিন্তু তাদের সেই প্রত্যাশা সফল হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার কঠোর ও দৃঢ় অবস্থান এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির অদম্য উত্থানে।

এ ছাড়াও ক্রমাগত বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সম্প্রতি মিয়ানমারে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের পরও বাংলাদেশ দমিত হয়নি। সৃষ্টিসুখের অদম্য উদ্দীপনায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। সবমিলিয়ে দৃশ্যমান উন্নয়নের মিছিলের বাহিরে এমনকি সূদুরপ্রসারী অর্জন দেশের ভবিষ্যতকে অপার সম্ভাবনাময় করে তুলেছে।

মোসলেম উদ্দিন বলেন,’ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী দশকে এদেশ স্বপ্নের পথে উত্তরণ হবে। আগামী নির্বাচনে উন্নয়ণের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই। তিনি বলেন,’ বোয়ালখালীতে ব্যাপকভাবে আমি বেশ কিছু মহিলা সমাবেশে গিয়েছি এবং বলেছি। নারীদের পিছনে রেখে অগ্রগতি সম্ভব নয়। নারীর অধিকার প্রতিষ্টা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা বিস্তার ও নেতৃত্ব প্রয়োজন।

ব্যক্তিগত শিক্ষা ও মানবিক গুনাবলী ও দেশপ্রেমের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন বিশ্বনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়েছেন। আওয়ামী লীগ দু:খী মানুষের ঠিকানা। দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন কর্মসুচী বাস্তবায়ন করেছেন। দুর্দিন-দু:সময়ে যারা সংগঠনের চালিকাশক্তি হিসেবে জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা প্রকৃত সংগঠক।

আওয়ামী লীগ সরকারের নিবেদিত প্রাণকর্মী ও সর্বস্থরের জনগন আবারও আওয়ামী লীগকে ভোটে বিজয়ী করবে। চট্টগ্রামের রাজনীতির প্লাটফরমে ত্যাগী, পরীক্ষিত ও সাহসী রাজনীতিবিদ মোসলেম উদ্দিন বলেন,’ গ্রাম উন্নত হলেই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন হবে। এই লক্ষ্যে গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির প্রতি সরকারের বিভিন্ন কল্যানমুলক দিক নির্দেশনার ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি বলেন,’আপনি জানেন, কর্ণফুলী নদীতে ট্যানেল নির্মাণের কাজ দিনরাত চলছে। এই ট্যানেল দেশে প্রথম। এই ট্যানেল নির্মিত হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ শহরের সাথে অল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন। সরকার জঙ্গীবাদকে প্রায় নির্মুল করে নিয়ন্ত্রনে রেখেছে। এখন সর্বনাশা মাদকের বিরুদ্ধে চলছে অভিযান। এই অভিযানে আমাদের সফল হতে হবে। তিনি বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামে বর্তমান সরকারের আমলে প্রচুর উন্নয়ণ হয়েছে। গণতন্ত্র ও উন্নয়ণের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আবারও দেশবাসীকে নৌকায় ভোট দিতে আহবান জানাব।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.