জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র দিয়েছেনঃ মোজাম্মেল মিলন

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ ‘নির্বাচনের জন্য সব দলের কিছু কৌশল এবং প্রস্তুতি থাকে। আওয়ামী লীগ যে সব ওয়াদা দিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট পেয়ে সরকার গঠন করেছিল তার অধিকাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকীগুলো চলমান রয়েছে। রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসনিার নেতৃত্বে একুশ শতকের উপযোগী যে গণতন্ত্র এসেছে তা মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে’।

এ কথাগুলো বলেছেন, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কলামিষ্ট ও বিশিষ্ট সংগঠক সৈয়দ মোজাম্মেল হক মিলন। দীর্ঘদিন যাবত তিনি মাঠ পর্যায়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে সর্বস্তরের মানুষের আলোচনায় এসেছেন।

দু:সময়ে দলকে সংগঠিত করতে গিয়ে একাধিকবার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। বিএনপি শাসনামলে রামগঞ্জে অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ ছিল আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও জাতীয় শোকদিবস পালন। কিন্তু তিনি কোনো বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন এবং ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নিরাপত্তা বিধানের আইন পাশের দাবিতে রামগঞ্জে সমাবেশ করায় বিএনপির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাঁর বাড়ীতে সশস্ত্র হামলা চালায়।

বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন, সাফল্য ও অগ্রগতির চিত্র জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি এলাকায় ব্যতিক্রমধর্মী সাড়াজাগানো পোস্টার ও লিফলেট ছাপিয়ে বিতরণ করছেন। এছাড়া বিএনপি-জামাত জোটের নির্মম নাশকতার চিত্রসহ পোস্টার ও লিফলেট নতুন প্রজন্মের ভোটারদের কাছে বেশ আলোচিত ও প্রশংসা অর্জন করেছে।

গত সপ্তাহে সিটি নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে সৈয়দ মোজাম্মেল বলেন, মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে যে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করে, দেশকে বিশ্বদরবারে সম্মানিত করে, জাতির মর্যাদা বাড়ায়। বিপরীতে বিএনপি-জামাত আমলে ছিল লুটপাট ও সর্বত্র হাহাকার।

খালেদা জিয়া নিজে দুর্নীতি করেছেন, তার বড় ছেলে তারেক রহমান মানি লন্ডারিংএ সাজাপ্রাপ্ত আসামী। ২১ শে আগষ্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তারেক ও হারিছ চৌধুরীরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সরকারের আমলেও তারা আন্দোলনের নামে পেট্রোলবোমা ও আগুন দিয়ে শত শত নিরহ নাগরিককে নির্মমভাবে পুড়িয়ে মেরেছে। সহিংসতা, অরাজকতা, নাশকতা করে জনগণের জীবন বিষিয়ে তুলেছিল।

আমি মনে করি, এ দেশের মানুষ বিএনপির চরিত্র কি তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে সরাসরি মতবিনিময় করেছেন।

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সৈয়দ মোজাম্মেল হক মিলন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী দশকে এদেশ অবশ্যই স্বপ্নের পথে উত্তরণ করবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন, কর্ণফুলী নদীতে টানেল, নৌবাহিনীতে সাব-মেরিন সংযোজন, ঢাকা মেট্রো রেল প্রকল্প গ্রহণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ এবং পদ্মা সেতু নির্মাণসহ নতুন আধুনিক মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে আরও নতুন মাত্রা যোগ করবে। আগামী দশকে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ নতুন এক বাংলাদেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে।

এ কারণে আগামী দশকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে বিশ্বশান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র নিজ নিজ এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের মাঝে পৌঁছাতে হবে। মানুষের সাথে মতবিনিময় করে বুঝাতে হবে। সরকারের সফলতার বার্তা প্রতিটি ঘরে পৌঁছাতে হবে। আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির শক্তির ঐতিহ্য, চেতনা ও অহংকারের প্রতিক।

কলামিষ্ট ও বিশিষ্ট সংগঠক সৈয়দ মোজাম্মেল হল মিলন বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মতলববাজ মহল দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে চাইছে। স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ, এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী, অর্থপাচারকারীদের সঙ্গে জোট বাঁধতেও এখন আর তাদের লজ্জা হয় না। এতে স্পষ্ট নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হচ্ছে।

আমাদের গণতন্ত্র রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে সুদৃঢ় করতে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এখনো তৎপর। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাধীনতা বিরোধীচক্র বসে থাকবে না। দুর্দিন দু:সময়ে যারা সংগঠনের চালিকা শক্তি হিসেবে জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করে তারাই প্রকৃত সংগঠক।

জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পদক সৈয়দ মোজাম্মেল হল মিলন বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির ভাগ্য পরীক্ষার নির্বাচন। রামগঞ্জের মত আসনে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করতে এমন ব্যক্তি হতে হবে যিনি নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলার মধ্য দিয়ে রাজনীতি করে নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পেরেছেন।

দু:সময়ে নেতাকর্মিদের পাশে ছিলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন এবং দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কখনো বিদ্রোহ করেননি। সৎ ও ত্যাগী এমন নেতার জন্য নির্বাচনে রামগঞ্জ আপামর জনতা ঝাঁপিয়ে পড়বে। মোজাম্মেল বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমি লক্ষীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনটি উপহার দিতে পারবো- ইনশাল্লাহ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.