সিটি নিউজ ডেস্ক :: জমি দখলের অভিযোগে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ বুধবার (১৮ জুলাই) রাজধানীতে সিআইডির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা এসব তথ্য জানান।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টায় রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিনকে আটক করে সিআইডি।
মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, লন্ডন প্রবাসী আব্দুল হাকিম (৭০) নামে এক ব্যক্তি সাভারের আশুলিয়ায় সাড়ে চার বিঘা জমি কেনেন। ওই জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন। জমিটি দখল করার জন্য তিনি রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বসে পরিকল্পনা করেন। জমির মূল মালিককে বাদ দিয়ে অন্য একজনকে আব্দুল হাকিম সাজান। এরপর জাল দলিল তৈরি করে জমির নামজারির জন্য আশুলিয়ার ভূমি অফিসে আবেদন করেন। কিন্তু ভূমি কর্মকর্তা বিষয়টি জমির মূল মালিককে নোটিশে জানালে আসল মালিক থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে জমি দখলকারী মূল হোতা উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের নাম।
মোহাম্মদ উল্ল্যা আরো জানান, জমির মূল মালিক আব্দুল হাকিমের গ্রামের বাড়ী নোয়াখালী জেলায়। তিনি লন্ডনেই থাকেন। সাভারের জমিটি তিনি ২০০১ সালে কেনেন। তাঁর কেনা জমির বিষয়ে গত ২৮ এপ্রিল আশুলিয়া ভূমি অফিস থেকে তাঁর কাছে একটি নোটিশ আসে। নোটিশের পর তিনি ভূমি অফিসে গিয়ে জানতে পারেন জমিটি দখল করতে রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তি চারটি ভুয়া দলিল তৈরি করে মালিকানা দাবি করেছেন। এরপর তিনি গত ২৫ মে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন। গত ৬ জুন মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে আসে। তদন্তের শুরুর দিকে তদ্ন্তকারীরা মনে করেছিলেন এটি হয়তো কোনো সংঘবদ্ধচক্র করে থাকতে পারে। কিন্তু তারা তদন্তের শেষ পর্যায় এসে দেখেন এর সঙ্গে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আরো কয়েজন জড়িত। তাদেরও ধরার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না, জানতে চাইলে সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, রুহুল আমিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে রুহুল আমিন এর আগে এমন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন কি না, তা জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে আটককৃত রুহুল আমিনের দাবি, তিনি আব্দুল হাকিম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জমিটি কিনেছেন।