চট্টগ্রাম থেকে ৯টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট সৌদি যাবে 

0

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রাম থেকে বিমানের প্রথম সরাসরি হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করা হয়েছে। ৪০৫ জন হজ্বযাত্রী নিয়ে বিমানের প্রথম ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ছেড়ে যায়।

আজ  রবিবার (২২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে মদিনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় প্রথম হজ ফ্লাইটটি।  বিমানের নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ দ্বারা পরিচালিত বিজি ৩০৩৩ ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটটিতে ৪০৫ জন যাত্রী ছিল।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।এরপর তিনি উদ্বোধনী ফ্লাইটের হজ যাত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন। হজ ফ্লাইট ছাড়ার পূর্বে হজ যাত্রীদের নিরাপদ, নির্বিঘ্নে যাত্রা ও সুষ্ঠু হজ ফ্লাইট পরিচালনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও তার বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে এ বছর ৯টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি মদিনায় মোট ৪টি ও চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় সরাসরি ৫টি হজ ফ্লাইট। এছাড়াও চট্টগ্রাম-জেদ্দা ১৪টি শিডিউল ফ্লাইটে হজ-যাত্রী পরিবহন করা হবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ, চট্টগ্রাম জেলা ব্যবস্থাপক সজল কান্তি বড়ুয়া, স্টেশন ব্যবস্থাপক গোলাম নাসের আজমী, ব্যবস্থাপক জনসংযোগ তাছমিন আকতার, চট্টগ্রাম আটাব সভাপতি মো. আবু জাফর, হাব চট্টগ্রাম সভাপতি- মো. শাহ আলম ও বিমান সি.বি.এ. চট্টগ্রাম স্টেশনের সভাপতি এফ এম দিদারুল আলম চৌধুরী।

মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ শাকিল মেরাজ সংবাদ সম্মেলনে জানান, আজ ৮ সকাল ৮টা পর্যন্ত বিমানের ৮টি সিডিউল ও ৪৩টি ডেডিকেটেড ফ্লাইটসহ সর্বমোট ৫১টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ৩৯১ জন এবং সৌদিয়া এয়ারলাইন্স-এ ১৯ হাজার ৬৮১ জন অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে মোট ৪০ হাজার ৭২ জন হজ্ব যাত্রী ইতোমধ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এ বছর সৌদি সরকার নির্ধারিত বরাদ্দ স্লটের বাইরে অতিরিক্ত কোনো ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি প্রদান করবে না বলে অবহিত করেছে।

তিনি জানান, আগামী ২৯ জুলাই, ১৮ হতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিমানের বিভিন্ন ফ্লাইটে এখনও প্রায় ৮০০০ টিকেট অবিক্রিত রয়েছে। যেহেতু সৌদি কর্তৃপক্ষ সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, এ বছর তারা বিমানকে অতিরিক্তি ১টি স্লটও প্রদান করবে না, সে কারণে যাত্রীর অভাবে কোনো ফ্লাইটের লোড বিল্ড আপ না হলে বা আসন খালি গেলে ওই ফ্লাইটের হজ্ব যাত্রীদের হজ্ব যাত্রা বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে এ বছর প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ যাত্রী পবিত্র হজব্রত পালনে সৌদি আরব যাবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট হজ্ব যাত্রীর অর্ধেক অর্থাৎ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন হজ যাত্রী ১৫৫টি ডেডিকেটেড এবং ৩২টি শিডিউল সব মিলিয়ে ১৮৭টি ফ্লাইটে পরিবহন করবে। বিমানের হজ যাত্রীর মধ্যে ৭ হাজার ১৯৮ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৫৬ হাজার ৪০১ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন। এসব হজ্ব যাত্রীদের পরিবহনের জন্য বিমানের ৩টি নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর এবং লিজের ১টি বোয়িং উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে, বিমান বাংলাদেশ সূত্রে জানিয়েছে, গত বছর চট্টগ্রাম থেকে ডেডিকেটে হজ ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল ১৫টি এবার এটি করা হয়েছে ৯টি। চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দা রুটে সিডিউল ফ্লাইট বৃদ্ধির কারণে ডেডিকেটেড হজ্ব ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দা রুটে ফ্লাইট ফ্রিকুয়েন্সি ইতোমধ্যে সপ্তাহে ২টি থেকে বৃদ্ধি করে ৩টি করেছে।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.