শরীর ভালো তো মন ভালো

0

সিটিনিউজবিডি :  কথায় আছে শরীর ভালো তো মন ভালো। তাই শরীর ও মন ভাল রাখার জন্য বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই। কিছু নিয়ম মেনে চললেই যথেষ্ট। সে রকম কিছু নিয়ম আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো।

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার জাঙ্কফুড, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। যে সব খাবারে অতিরিক্ত চর্বি, লবণ ও অ্যালকোহল থাকে সেগু্লো হার্ট, ব্রেইন এমনকি শরীরের জন্য এগুলো অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই যথাসম্ভব এগুলোর ধারের কাছেই যাবেন না। এগেুলোর পরিবর্তে আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- ফল, শাক-সবজি, মাছ, অলিভঅয়েল এ জাতীয় সুষম খাদ্য যেগুলো আপনার সাধ্যের মধ্যে সেগুলো খেতে পারেন।

নিয়মিত ব্যয়াম প্রতিদিন আমরা যেমন ব্রাশ করি, খাবার খাই তেমনি মন ও শরীর ভাল রাখার জন্য নিয়মিত ব্যয়াম করাও জরুরি। এ জন্য প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট সময় ব্যয় করলেই যথেষ্ট। হার্টকে সচল রাখার জন্য বিশুদ্ধ বায়ু গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া হাঁটা, সাইকেল চালানো, জগিং, মেশিন ঘোরানো, সাতাঁর কাটা ইত্যাদি। হাঁটা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। প্রতিদিন অন্তত ১০মিনিট এদিক সেদিক হাঁটা উচিত। প্রতিদিন সকালে পার্কে, রাস্তা দিয়ে হাটতে পারেন। অফিসে বা বাসায় লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার মানসিক চাপ কমবে এবং আরামবোধ করবেন।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। পরিবারিক কোন রোগের ইতিহাস থাকলে ডাক্তারকে বলতে হবে। নারীদের ব্রেস্ট ক্যানসার পরীক্ষা করার জন্য নিয়মিত মেমোগ্রাম স্ক্রিমিং টেস্ট করা উচিত। পুরুষেরা মূত্রথলির ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য পিএসএ টেস্ট করাতে পারেন। পঞ্চাশের পর থেকেই রুটিনমাফিক কলোরেক্টাল ক্যান্সার পরীক্ষা করাসহ ডায়াবেটিকস, রক্তচাপ প্রভৃতি টেস্ট করা উচিত।

ওজন কমানো অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থে্র জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহনের ফলে শরীর মোটা হয়ে যায়। তাই পরিমিত খাবার খেতে হবে আর বেশি করে শরীর চর্চা করতে হবে। এতে আপনার দৈনন্দিন জীবন-যাপন অন্য রকম হয়ে যাবে এবং ডায়াবেটিকস, হৃদরোগ, স্ট্রোক প্রভৃতি মারাত্মক ব্যাধি থেকে রক্ষা পাবেন।

মানসিক চাপ কমানো নিয়মিত ব্যয়াম, খাবার গ্রহণ, ঘুম, পরিবারের সাথে সময় কাটানো প্রভৃতি জীবনে চাপ কমিয়ে দিবে। অনেকেই আছেন যারা কাজের চাপে থাকেন। নিয়মিত ব্যয়াম করার সুযোগ পান না তারা স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূর ঝুঁকিতে থাকেন। তাই তাদের জন্য পরামর্শ- অবশ্যই কাজের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে, বেশিমাত্রায় শারীরিক পরি্শ্রম থেকে বিরত থাকতে হবে। যারা নিয়মিত পরিবারের বয়স্ক এবং ছোটদের দেখাশোনা করেন তারা কখনোই ভাববেন না যে শরীরের জন্য অতিরিক্ত চাপ হচ্ছে।

এটাও শরীর চর্চার একটা অংশ যা আপনার শরীর ও মন দুটোই ভাল রাখবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.