ওমর ফারুকের সাথে চট্টগ্রাম যুবলীগের মতবিনিময়

0

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান চট্টগ্রামের কৃতিসন্তান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন,১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতার হত্যা কান্ডের পরে যে চক্রান্ত হয়েছিল তা এখনও শেষ হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে স্ব পরিবারে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে কারাগারের অভ্যন্তরে হত্যা,২১ শে গ্রানেড হামলা এবং বারেবারে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চক্রান্তের ঘটনাগুলো একই সূত্রে গাঁথা। হত্যাকারীরা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় খয়রাতি রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিলিন করা।

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নিজের জীবণের ঝুঁকি নিয়ে যদি ১৯৮১ সালে দেশে না আসতেন তাহলে ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য সফল হতো,দেশের গনতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, অর্থনিতির বিষয়গুলো গৌন হয়ে যেত।হয়তো এই দেশটিও থাকতো না। জনগনের ক্ষমতায়ন কি জননেত্রী শেখ হাসিনা তা জনগনকে বুঝিয়ে দিয়েছেন,উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি তাঁর বিশ্ব শান্তির দর্শন এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র বিনির্মান করেছেন।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যারা সরকার উৎখাত করেছিল তাদের উত্তরসূরীরাই ২১ শে আগষ্টের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত।শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ব্যাপক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা আবারও ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছে। আন্দোলন জমাতে না পেরে  কোন ইস্যু পেলেই তারা সারা দেশে গুজোব ছড়ায়।

তিনি বি এন পি কে প্রশ্ন করেন কোথায় আপনাদের তীব্র আন্দোলন? শীত- বর্ষা শেষ হলে,রোজা-ঈদ,পূজা পার্বন শেষ হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। মাঝ রাতে, ভোর রাতে প্রেস ব্রিফিং করা হয়, কিন্তু আন্দোলন তীব্র হয়না, তাদের নেতাকর্মীদের কে রাস্তায় খুঁজে পাওয়া যায়না। আওয়ামীলীগকে আন্দোলনের ভয় দেখাবেননা,আওয়ামীলীগ গন সংগঠন,আওয়ামীলীগ যেমন যেমন আন্দোলন করতে জানেনে,তেমনি দমাতেও জানে।

জনগনের প্রানের কোন দাবী যদি থাকে সে ব্যাপারে শেখ হাসিনা সবসময় সচেতন ছিল। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন,কোটা সংস্কার এর দাবীতে আন্দোলনের বিষয়ে সরকার যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা যখন ঘোলা পানিতে মাছশিকার করতে চাইলো,ব্যপক গুজোব ছড়ানো হলো,সরকার উৎখাতের জন্য যখন বিভিন্ন মহল তৎপর হয়ে উঠলো তখন পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দিতে হয় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী তা দেখিয়ে দিয়েছেন।

বাংলাদেশে কিছু সুযোগ সন্ধানী রাজনিতিক আছেন পরিস্থতি ঘোলাটে দেখলেই এম পি, মন্ত্রী হওয়ার জন্য নানা মূখি অপতৎপড়তা শুরু করেন। বি এন পির মহাসচিব এবং জনগন দ্বারা প্রথ্যাখ্যত তথাকথিত আন্তর্জাতিক এক আইনজীবী  সাধারন ছাত্রদের কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে দুটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনকে পেছন থেকে লেলিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে চেয়েছিল। গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বোনাস নিয়েও গুজোব ছড়াতে চেয়েছিল কিন্তু তারা এ যাত্রায় ও ব্যার্থ হয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর,উত্তর, দক্ষিন জেলা শাখার সাথে মত বিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

রাউজান উপজেলা সুলতান পুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ী প্রাঙ্গনে এ মত বিনিময় সভায় সবাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা যুবলীগের সভাপতি আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী।নগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদের পরিচালনায় নেতৃবৃন্দের মধ্য বক্তব্য রাখেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক,কেন্দ্রিয় যুবলীগের সহ সমবায় সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী,সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু,উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলম,দক্ষিন জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক পার্থ সারথি, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক দিদারুল আলম দিদার,মাহবুবুল হক সুমন,দক্ষিন জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি শহীদুল ইসলাম,যুগন সম্পাদক মোঃ সোলাইমান,সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ প্রষাদ ধর, নগর যুবলীগ সদস্য কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব,হেলাল উদ্দিন ,নুরুল আনোয়ার,মঈনুল হোসেন রাজু, শেখ নাছির আহমেদ,দেলোয়ার হোসেন দেলু,তারেক সুলতান,কাজল প্রিয় বড়ুয়া,আফতাব উদ্দিন রুবেল,আলাউদ্দিন আলো,হোসেন সরওয়ার্দী, সাখাওয়াত হোসেন সাকু,খোরশেদ আলম রহমান, নঈম উদ্দিন খাঁন,দক্ষিন জেলা যুবলীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক তাজুল ইসলাম,দক্ষিন জেলা যুবলীগ নেতা সেলিম হক,হামিদ উল্লাহ,মোরশেদুল হক,রতন সেন মুন্না,উত্তর জেলা যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন,নাজমুল হুদা মনি,মোহাম্মদ ইউনুস।

যুবলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন আমরা সংগঠন করি। আমাদের কাজ হলো জনমত সৃষ্টি করা।সংগঠিত ভাবে ঐক্য বজায় রেখে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলা। আহামী সংসদ নির্বাচনে নেত্রী যাকেই প্রার্থী দিবেন তার পক্ষে কাজ করা।প্রতিটি কেন্দ্রে শক্তিশালী কমিটি করে নির্বাচনে জয় লাভ করার পথ সুগম করা।তাহলে সকল ষড়যন্ত্র ব্যার্থ হবে।

সকাল থেকে ঈদ উল আযহা এর দ্বিতীয় দিনে আগত নেতা কর্মীদের সাথে তিঁনি কুশল বিনিময় করেন এবং আপ্যায়ন করান।নগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু,তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক বাবু চন্দন ধর, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান উনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হোন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.