তাসফিয়া পানিতে ডুবে আত্মহত্যা করেছে- গোয়েন্দা পুলিশ
চট্টগ্রাম,সিটি নিউজ : স্কুলছাত্রী তাসফিয়া পানিতে ডুবে আত্মহত্যা করেছে,তাকে কেউ হত্যা করেনি বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আজ রবিবার ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওসমান গণির আদালতে স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হলে তা প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালতে নারাজি আবেদন করেছে নিহত স্কুল শিক্ষার্থী তাসফিয়ার পরিবার।
চট্টগ্রাম মেট্রপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকালে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে ডিবি পুলিশ তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার সরকার। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, তাসফিয়ার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে।’
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলাটি তদন্তকালে ছয়জন প্রত্যক্ষদর্শীসহ মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের ভিসেরা রিপোর্টেও তাসফিয়ার মৃত্যু পানিতে ডুবে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিএমপি অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ওই এলাকার প্রত্যক্ষ ১৬ জন সাক্ষীর বক্তব্য নিয়েছি। তাদের সাক্ষ্য ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সব কিছু মিলিয়ে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই তাসফিয়া পানিতে ডুবে আত্মহত্যা করেছে।’
গোয়েন্দা পুলিশের ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালতে নারাজি আবেদন করেছে নিহত স্কুল শিক্ষার্থী তাসফিয়ার পরিবার।
তাসফিয়ার মা নাঈমা খানম বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তার আত্মহত্যা করার তো কোনো কারণ নেই।’
চলতি বছরের পহেলা মে নগরীর পতেঙ্গা নেভাল এলাকা থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিয়া আমিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানায়।
এ ঘটনায় তাসফিয়ার বাবা বাদী হয়ে তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাসহ ছয়জনকে আসামি করে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদনানসহ দুজনকে গ্রেফেতার করে পুলিশ। এ ছাড়া ফিরোজ নামের আরেক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে।