ফেল করা মানেই হেরে যাওয়া নয়

0

নিজস্ব প্রতিবেদক:: ফেল করা দোষের কিছু নয়, ফেল করা মানেই হেরে যাওয়া নয়।ফেল একটি শিক্ষা, একটি অভিজ্ঞতা, ফেল মানে নতুন করে সাফল্যের পথে ঘুরে দাঁড়াবার আরেকটি সুবর্ন সুযোগ।

২০১৮ সালে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় ফেল করেছে এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে শনিবার (২১ শে সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে, চট্টগ্রামের স্বনামধন্য দক্ষতা, ক্যারিয়ার উন্নয়নএবং সামাজিক নেতৃত্ব বিকাশের শিক্ষা গবেষণা ভিত্তিক সংগঠন ডি ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব (ডিইসি),বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আয়োজন করছে একটি দিনব্যাপি ব্যতিক্রমী কর্মশালা”YOUTURN : ঘুরে দাঁড়াও সাফল্যের পথে”।

প্রতিবছর বাংলাদেশে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয় যার পরিমাণ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অকৃতকার্যতার শিকার হওয়ার দরুন কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী বেছে নেয় আত্মাহত্যার পথ অথবা শুরু করে অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনযাপন যার জন্য অনেকাংশেই দায়ী দেশের সমাজব্যবস্থা এবং অভিভাবকগণ।

হতাশায় ভুগতে থাকা এইসব শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্যারিয়ার দিক-নির্দেশনা ও দক্ষতা উন্নয়নের সঠিক বাস্তবধর্মী পথে ধাবিত করার লক্ষে ডি ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব এই আয়োজন করেন, যেখানেচট্টগ্রাম জেলার ৪৪ টি সরকারি বেসরকারি কলেজ থেকে প্রায় ১২২ জন অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে।

ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব সোমেন কানুনগো’র সভপতিত্বে এবং ক্লাব সেক্রেটারি লোপামুদ্রা নন্দী’র সঞ্চালনায় উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামেরঅতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব হাবিবুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুচিন্তা বাংলাদেশের সমন্বয়ক এডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী, আর্ডজাস গ্রুপের চেয়ারম্যানজনাব জাহাঙ্গীর হোসেন, ডেল্টা ইমিগ্রেশনের সিইও জনাব মোহাম্মদ আলমগীর।

দিনব্যাপী (সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা) এই কর্মশালায় শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার দিকনির্দেশনা ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলাম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ মাশহুদুল কবির, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট এর উপদেষ্টা জনাব কে.এম হাসান রিপন, র‌্যাংগস এফসি প্রোপার্টিজ এর সিইও জনাব তানভিরশাহরিয়ার রিমন, মেন্টরস চট্টগ্রামের প্রধান মানজুমা মোর্শেদ, ইম্পেক পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষ জনাব কামরুল হুদা, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা জনাব সোমেন কানুনগো ও এইচআরডেস্কের প্রতিষ্ঠাতা জনাব এমরানুল হক।

দশটি টেকনিক্যাল দক্ষতা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সেশনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয় উক্ত কর্মশালা। সঠিক ক্যারিয়ার ক্ষেত্র ও লক্ষ্য নির্ধারন, প্ল্যান অফ একশন, সেল্ফ এসেসমেন্ট, স্টুডেন্টলাইফ এন্ড সেট অফ স্কিলস, ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং, ক্যারিয়ার পাথওয়ে, ফিউচার অপরচুনিটিস ও আইসিটি, এছাড়াও আত্মবিশ্বাস বাড়ানো ও লিডারশীপের বেশ কিছু এক্টিভিটি বিদ্যমানছিল।সেশন পরিচালনাধীন সময়ে সম্মানিত বক্তাগণ এইচ.এস.সি তে অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের ভেঙে না পড়ে নিজেদের কর্মমুখীশিক্ষায় নিয়োজিত করার মাধ্যমে ক্যারিয়ার গঠনেরআহবান জানান।

ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা জনাব সোমেন কানুনগো তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে নয়, এশিয়া সাব-কন্টিনেন্টে এটি প্রথম এবং একটি নতুন ইতিহাস বৈকি যারা ফেল করেছে তাদের খুঁজে বেরকরাটা আমাদের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। একদিনের প্রোগ্রাম করেই কাজ শেষ নয়, এটি আমাদের একটি স্বপ্নের প্রোজেক্ট। আগামী ১ বছর আমরা এই ১২২ জন শিক্ষার্থীদেরকে নার্সিংকরবো, বিনামূল্যে বিভিন্ন স্কিলস টেনিং এবং সেমিনারের আয়োজনের মাধ্যেমে ওদের আগামীর সুন্দর ক্যারিয়ার নিশ্চিত করবো।

কর্পোরেট কোম্পানী, লোকাল প্রশাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সবার সহযোগিতা পেলে আগামীতে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এটি আয়োজন করতে চাই।উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠালগ্ন (২০১৩) সাল থেকেই ডি ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব আয়োজন করে চলেছে ভিন্নধর্মী দক্ষতামূলক প্রশিক্ষন ও শিক্ষা গবেষণা মূলক কর্মসূচি। সংগঠনটি ২০১৭ সালে, সিআরআই – ইয়ংবাংলা কতৃর্ক বাংলাদেশের অন্যতম সেরা সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে এবং জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.