জামায়াতকে নিয়েই বৃহত্তর ঐক্যে যাচ্ছে বিএনপি!

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :: জোটে থাকা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ নয় বরং ২০ দলকে নিয়েই বৃহত্তর ঐক্য করতে চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল -বিএনপি। আর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের লিখিত আকারে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দলটির স্থায়ী কমিটির নেতাদের এক জরুরি বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বৃহত্তর ঐক্য গড়তে বিকল্পধারা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে যে আপত্তি তোলা হয়েছে তা নিয়ে বিএনপি নেতারা পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিলেও শেষ পর্যন্ত ২০ দলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন দেশে ফিরলে বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানো হবে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত বিএনপির জনসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ‘রাজপথে যেই থাকবে তার সাথেই ঐক্য হবে। রাজপথে যদি শয়তানও থাকে, তার সঙ্গেও ঐক্য হবে’ -এমন বক্তব্য নিয়ে বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে বুঝেশুনে বক্তব্য দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

এ ছাড়া ঐক্য প্রক্রিয়ার কাঠামো, কর্মসূচির ক্ষেত্রে জোটভিত্তিক নাকি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মত যুগপৎভাবে হবে, কোন প্রক্রিয়ায় বৃহত্তর ঐক্য পরিচালিত হবে? -এসব বিষয়েও ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত বৈঠক করা হবে।

এদিকে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন করে কর্মসূচির কথাও ভাবছেন বিএনপি নেতারা। আগামী দুয়েক দিনের মধ্যেই তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। চলতি মাসের মাঝমাঝি থেকে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে জনসভার প্রস্তুতিও নিচ্ছে বিএনপি।

আগামী ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামালার রায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিপক্ষে গেলে সেক্ষেত্রে দলের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা হবে। তবে হরতাল অবরোধের মতো কোনো কর্মসূচিতে না গিয়ে আপাতত মানববন্ধন, বিক্ষোভ বা সমাবেশের মত কর্মসূচির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চান দলের নেতারা।

বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় রাত ৮টায়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আমলগীরের সভাপতিত্বে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, আব্দুল মঈন খান, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’

এছাড়াও আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে কমনওয়েলথ মহাসচিব যে চিঠি দিয়েছেন সে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের চলমান বিষয় নিয়ে কমনওয়েলথে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। তারা সেই চিঠির জবাব দিয়েছে। আমরা আলোচানা করে এ চিঠির আবারও জবাব দেব।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.