রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য প্রস্তুত ভাসান চর: ত্রাণমন্ত্রী
সিটি নিউজ ডেস্ক :: পঁচিশ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের অস্থায়ী বসবাসের জন্য নোয়াখালীর ভাসান চরে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, সেখানে ২৫ হাজার পরিবারকে নেয়ার জন্য সর্বপ্রকার প্রস্তুত আছি। সব রেডি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেদিন বলবেন, সেদিনই। আমরা প্রস্তুত। আমি নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, অল্প সময়ে ওই জায়গাটা তারা তৈরি করেছে। না গেলে বুঝতে পারবেন না।
সব মিলে সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গা অস্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন জানিয়ে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, তারা মিয়ানমারের নাগরিক, তারা ওই দেশের নাগরিক হিসেবে শ্রদ্ধার সঙ্গে ওই দেশে ফিরে যাবে এটাই আমরা চাই।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও মানবতাবিরোধী ধ্বংসযজ্ঞের কারণে রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অভিযান চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। তখন থেকে রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। বাংলাদেশে এখন ১১ লাখেরও বেশি নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে।
পরে সরকার নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রাথমিকভাবে এক লাখ রোহিঙ্গার পুনর্বাসনের জন্য ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়।
প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে, চরের ভূমি উন্নয়ন ও তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ, থাকছে এক হাজার ৪৪০টি ব্যারাক হাউস।
আরও থাকবে ১২০টি শেল্টার স্টেশন, মসজিদ, দ্বীপটির নিরাপত্তার জন্য নৌবাহিনীর অফিস ভবন ও কর্মকর্তাদের জন্য বাসভবন। থাকছে অভ্যন্তরীণ সড়ক, পানি সরবরাহ ও নিষ্কাশন অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় থাকবে নলকূপ ও পুকুর।
এ ছাড়া খাদ্য গুদাম, জ্বালানি ট্যাংক, হেলিপ্যাড, চ্যানেল মার্কিং ও মুরিং বয়া, বোট ল্যান্ডিং সাইট, মোবাইল ফোন টাওয়ার, রাডার স্টেশন, সিসি টিভি, সোলার প্যানেল, জেনারেটর ও বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনও নির্মাণ হচ্ছে ভাসান চরে।