‘পূজায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই’

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :: কারসাজি না হলে আসন্ন দুর্গাপূজায় পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কোন আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, পূজাকে সামনে রেখে গেল কয়েক সপ্তাহে পর্যাপ্ত আমদানি হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই পড়তির দিকে চালের দর। আড়তদাররা বলছেন, সরকারের কঠোর নজরদারির কারণে মিল মালিকরা পর্যাপ্ত চাল সরবরাহ করায় প্রভাব পড়েছে দামে।

আর মাত্র একদিন পরেই শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এতে স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে বন্ধ থাকবে সবধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

তবে বিভিন্ন পাইকারি মার্কেট ঘুরে দেখা গেলো, পূজার আগেই আড়তগুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে পেঁয়াজ, আদা, রসুন’সহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের। গেল সপ্তাহের চেয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে এক টাকা বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে, দেশি পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও আলুর দাম।বিক্রেতারা বলেন, ‘যারা বড় বড় আমদানি করে তারা মাল গোডাউনে রাখছে। তারা চাইবে বাজারটা বাড়ুক। বাজারে মাল যা আছে তাতে কোন সঙ্কট হবে না।’

এদিকে, আউশের নতুন চালের পাশাপাশি বাজারে অন্যান্য চালের সরবরাহ পর্যাপ্ত। গেল সপ্তাহের মতোই মিনিকেট মানভেদে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে, ৪৭-৫০ টাকায়; আটাশ ৩৬-৩৮ টাকা; পাইজামসহ অন্যান্য মোটা চাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৬ টাকায়।

বিক্রেতারা বলেন, ‘চাল পর্যাপ্ত আছে কোথাও মজুদ করা নাই। এইভাবে থাকলে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বাজার এমন থাকবে।’

ডালের বাজারে দেশি মসুরের দাম কেজিতে কমেছে ২টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে আমদানি করা মসুর, মুগ ও খেসারি’সহ অন্যান্য ডালের দর। বাড়েনি ভোজ্যতেলের দামও। বিক্রেতারা বলেন, ‘এংকর ২৯ থেকে ৩০ খেসারী ৩৫ আর দেশি মসুর ৭০ টাকা।’

জিরা প্রতিকেজি মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা। এলাচ মানভেদে ১৫৪০-১৯০০ টাকা। আর গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.