চকরিয়ায় ৪৪ মন্ডপে দুর্গোৎসব

0

স্টাফ রিপোর্টার,চকরিয়া: দেবী দূর্গার বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু শারদীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব দূর্গোৎসব আজ সোমবার ১৫ অক্টোবর। এবার দেবী মর্ত্যলোকে এসেছেন নৌকায় চড়ে, ঘোটকে চড়ে দেবলোকে প্রস্তান করবেন।

এই উৎসব ঘিরে কক্সবাজারের চকরিয়ায় চলছে সাজ সাজ রব। শহর ছাপিয়ে গ্রামেও ছড়িয়েছে পূঁজোর আমেজ। এরইমধ্যে উপজেলার ৪৪টি পূজা মন্ডপে মৃৎশিল্পীদের হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় দেবী দুর্গার বিমূর্ত অবয়ব ফুটে উঠেছে। শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্ততি।

পূজার সময় যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই ব্যস্ততা বাড়ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে। সবচেয়ে বড় উৎসব হওয়ার কারণে দুর্গা পূঁজার মন্ডপগুলোতে প্রতিবছর ভিড় করেন অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও। তাই এবারও চকরিয়ায় দুর্গাপূঁজাতে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির মিলন ঘটবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।

চকরিয়া সার্ব্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির পূঁজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজিত কান্তি দে ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কান্তি দে রুবেল জানান, ঝাঁকজমক পূর্ণভাবে ‘মা’ দূর্গার অর্চনা করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ পর্যায়ে। শুধু মাত্র রংয়ের তুলিতে মা’কে সম্পন্নরুপে ফুটিয়ে তোলার কাজ বাকি রয়েছে। পেন্ডেলের কাজও শেষ হয়েছে। আশা করি ষষ্ঠী পূঁজার আগেই সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে।

চকরিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ বলেন, উপজেলার এবার ৪৪টি মন্ডবে প্রতিমা পূঁজা এবং ৩৯টি মন্ডপে ঘট পূঁজা অনুষ্টিত হবে। এর মধ্যে চকরিয়া পৌরসভায় ৭টি, উপজেলার ফাঁসিয়াখালীতে ৬টি, কাকারায় ৩টি, বরইতলীতে ৬টি, হারবাংয়ে ৬টি, সাহারবিলে ২টি, ডুলাহাজারায় ৭টি, খুটাখালীতে ১টি, চিরিংগা ইউপিতে ১টি, কৈয়ারবিলে ৩টি ও পূর্ব বড় ভেওলায় ২টি মন্ডবে প্রতিমা পূঁজা অনুষ্টিত হবে।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-ক্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চকরিয়া উপজেলার সভাপতি রতন বরণ দাশ বলেন, দূর্গা পূঁজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্টান হলেও অন্য স¤প্রদায়ের লোকজনও এই উৎসবে সামিল হন। দেশের অন্যান্য জায়গার তুলানায় চকরিয়া একটি অসা¤প্রদায়িক এলাকা। এখানে সব ধর্মের মানুষ বিভিন্ন পূজাঁ-পর্বন ঈদসহ নানা আয়োজনে একসাথে মিলেমিশে উদযাপন করি। এবারের দূর্গা পূঁজাও যাতে ঝাঁকজমক পূর্ণভাবে অনুষ্টিত হয় সেজন্য ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে সবধরনের সহায়তা করা হবে। আশাকরি এবারের দুর্গা পূঁজাও আড়ম্বরপূর্ণভাবে অনুষ্টিত হবে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পূঁজা। এরমধ্যে পূঁজা কমিটি ও সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সাথে নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময়সভা অনুষ্টিত হয়েছে। পূঁজায় যাতে ভক্তদের চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য ইতোমধ্যে ৭টি রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর সরকারীভাবে যে বরাদ্দ দেয়া হয় আশা করি তা পূঁজো শুরুর আগেই চলে আসবে। পূঁজাতে যাতে আইনশৃঙ্খলায় কোন সমস্যা না হয় সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের নিরাপত্তা প্রদান করা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.