ধর্ম-বর্ণ যার যার, উৎসব সবার: প্রধানমন্ত্রী

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকলেই যার যার অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। ধর্ম যার যার, উৎসব সকলের। আমরা সব সময় সেটাই মানি। বাংলাদেশ বিশ্বে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাই সকলে মিলে আমরা এই দেশকেও একসঙ্গে গড়ে তুলতে চাই।

সোমবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর টিকাটুলী রামকৃষ্ণ মিশনে শারদীয় দুর্গোৎসবে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন। এরপর রাজধানীর লালবাগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। এই বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকলেই যার যার অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। আমরা এখানে সবাই যার যার ধর্ম পালন করব। ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সকলের। আমরা সব সময় সেটাই মানি।

বাংলাদেশ বিশ্বে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রত্যেকটি উৎসবে সবাই ভাই-বোনের মতো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ উৎসবটা আমরা উদযাপন করে যাই বলেন শেখ হাসিনা।

কাজেই সেই সেক্ষেত্রে আমরা সকলে এই দেশকেও একসঙ্গে গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশ উন্নত হোক, সমৃদ্ধশালী হোক, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ হোক, এটাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, আমি বাবা-মা ভাই সব হারিয়েছি। কিন্তু আমরা দুই বোন বেঁচে আছি। আমাদের জীবনে একটাই লক্ষ্য, বাংলাদেশটাকে আমরা গড়ে তুলব। লাখো শহীদের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। বাংলার দরিদ্র্য মানুষ ক্ষুধা অন্ন বস্ত্র চিকিৎসা শিক্ষার ব্যবস্থা করে প্রত্যেকের জন্য একটা উন্নত জীবন দেবো। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

সারাদেশে প্রতি বছর পূজার সংখ্যা বাড়ছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী পূজার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণও সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন।

শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে যারা আছেন তারা, প্রবাসে যারা আছেন তারা এবং সারাবিশ্বের সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শারদীয় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজকের দিনে এখানে আসতে পেরে সত্যিই আমি খুশি। আগামীকাল দেশের বাইরে যাচ্ছি। কাজেই চিন্তা করলাম, যাওয়ার আগে অত্যন্ত আপনাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যাই।

সুষ্ঠভাবে এ উৎসব সম্পন্ন হোক। উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হোক। সেটাই আমরা চাই। কারণ অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বাংলাদেশ সেই আদর্শ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই দেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এবার সারাদেশে ৩০হাজার ২৫৮টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা গতবারের তুলনায় ১ হাজার ৩৩টি বেশি এবং ঢাকা মহানগরীর ২৩০টি পূজা মণ্ডপে মহাসমারোহে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের স্বামীজী ধ্ররুবেশানন্দ প্রধানমন্ত্রীর হাতে শারদীয় শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে আরও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য হোসেন তওফিক ইমাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.